জঙ্গলমহলে যখন তখন হাতির হামলা জলভাত! সম্প্রতি হাতিদের তাণ্ডব বেড়েছে। সামনেই ভোট। তাই ভোটের আগে থেকে হাতি ঠেকাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহল এলাকা। সেখানেই প্রতি বছর ঝাড়খণ্ডের দমলা রেঞ্জ থেকে বহু হাতি ঢুকে পড়ে। হাতির হানায় অনেক মানুষের মৃত্যুও হয়। জানা গেছে, লোকসভা ভোটের সময় নিয়মিত হাতিদের গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি পাহারায় থাকবেন বনদফতরের কর্মীরা।
আগামী ২৫ মে জঙ্গলমহলে ভোট। ৩ জেলার বহু বুথ জঙ্গল এলাকায় পড়ে। বনদফতর সূত্রে খবর, ২০১০ সালে তৈরি বনদফরের টাস্কফোর্সের বাহিনী কাজ করছে। ক্যামেরার মাধ্যমে রিয়েল টাইম মনিটরিংও চলছে। কিন্তু কোনও কিছু করেই হাতির হামলা পুরোপুরি ঠেকানো যায়নি। তাই ভোটের দিনগুলিতে বিপদ এড়াতে আগে থেকেই সতর্ক হচ্ছে বন দফতর। যেখানে ভোটকেন্দ্র তৈরি হবে, তার চার-পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে হাতিদের গতিবিধি দেখলেই তাদের নিরাপদ দূরত্বে তাড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে।
সূত্রের খবর, গত সেপ্টেম্বর মাসে দলমা রেঞ্জ থেকে ৬৯টি হাতির একটি বড় পাল তিনধাপে বাঁকুড়া ডিভিশনের জঙ্গলে ঢুকেছিল। লাগাতার চেষ্টার পর গত ৯ এপ্রিল হাতিদের সরানো সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে এখনও প্রায় ১৪০টি হাতি রয়েছে। এরই মধ্যে গত সোমবার বাঁকুড়া ডিভিশনে তিনটি, পশ্চিম মেদিনীপুর ডিভিশনে ৭০টি, রূপনারায়ণ বন বিভাগে তিনটি এবং ঝাড়গ্রাম ডিভিশনে ৩৯টি হাতি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাই ভোটকেন্দ্র বা ভোটারদের ওপর হাতির হানার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন বনদফতরের কর্মীরা।