বাংলায় ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল বিহার পুলিশের বিরুদ্ধে। মালদায় চলল অবাধ ভাঙচুর, লুটপাট। বিহার সীমানা লাগোয়া হরিশ্চন্দ্রপুরের সাদলিচক গ্রাম-পঞ্চায়েতের ২০টি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়ে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিজেপি জোট শাসিত নীতীশ কুমারের রাজ্যের পুলিস কীভাবে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে বাড়ি ভাঙচুর করল, সে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এমনকি স্থানীয় পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়নি বলে দাবি।
গ্রামবাসীদের দাবি, সাদলিচক গ্রাম-পঞ্চায়েতের ২০টি বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বিহার পুলিশ। ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে তৃণমূল নেতাদের। ওই জমিটি দীর্ঘদিন ধরে দখল করার চেষ্টায় রয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনা তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর। উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন,'সাদলিচকে প্রায় ৫০-৬০ বছর ধরে গরিব মানুষ খাস জমিতে বসবাস করছেন। এই বস্তির উচ্ছেদের পিছনে রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের হাত। বিহার থেকে পুলিসকে ডেকে এনে গরিব মানুষদের বস্তি উচ্ছেদ করেছেন। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি এবং বিডিওর কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছি।'
বাংলার পুলিসকে না জানিয়েই বিহার পুলিস তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। তৃণমূলের জেলা সম্পাদক জম্বু রহমান বলেন,'বিহার রাজ্যের পুলিস সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে এই রাজ্যে প্রবেশ করে গরিব মানুষদের ঘরবাড়ি ভেঙে লুটপাট চালিয়েছে। এ রাজ্যের শাসনে তৃণমূল থাকায় পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে। বাংলার পুলিস-প্রশাসনকে না জানিয়ে হামলা করা হয়েছে। সাংসদ খগেন মুর্মুর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।'
অভিযোগ রাস্তার ধারে সমস্ত জমি তৃণমূল নেতাদের। কিন্তু জমির সামনে প্রায় ৭০ বছর ধরে এই পরিবার গুলি বসবাস করছে। তাঁদের উচ্ছেদ করতে এই পরিকল্পনা। গোটা ঘটনার পর স্থানীয় কুমেদপুর ফাঁড়ি এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানিয়েছেন, ঘটনার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- সরকারি চাকরি ছেড়ে আইনজ্ঞ, চিনে নিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে