সামনেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। বাংলার মসনদে টিকে থাকতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় রাজ্যের প্রতিটি পরিবারকে আনবে সরকার। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, এবার থেকে রাজ্যের সব পরিবারকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে৷ আগামী ১ ডিসেম্বর থেকেই তা কার্যকর হবে।
রাজ্যের প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যেই এনেছে সরকার, আরও আড়াই কোটি মানুষকে এই সুবিধা দেওয়া সাধ্যমতো চেষ্টা করছে সরকার, এদিন এমনটাই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা কোনও রকম স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পান না তাদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা ক্যাশলেস চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে ঘোষণা করা হয়। প্রতিটি পরিবারকে কার্ড ইস্যু করা হবে।
আরও পড়ুন, নেতাজির জন্মদিবসে বিশেষ কমিটি, নবান্নে ঘোষণা মমতার
বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''পরিবার পিছু প্রতিটি স্মাটকার্ডে পরিবারের সদস্যের প্রত্যেকের নাম থাকবে। দুয়ারে দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরু হলেও নাম লেখানো যাবে। পরিবারের মহিলার নামে এই কার্ড ইস্যু করা হবে। তাতে মহিলাদের ক্ষমতায়ণ হবে।''
উল্লেখ্য, পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের জন্য ৫ লক্ষ টাকার বিমা নয়, পরিবার পিছু এই বিমা ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও প্রায় দেড় হাজার বেসরকারি হাসপাতালকে এই প্রকল্পের মধ্যে আনা হয়েছে। এমনকী ভেলোর, এইমসের মতো হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পাওয়া যাবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে প্রতি বছর রাজ্যের ২০০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে৷ এই প্রকল্প সমাজের সবস্তরের মানুষের সুরক্ষার স্বার্থেই। বিশ্বের কাছে এই প্রকল্প দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলেই ধারণা মমতার। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভোটের আগে জনসংযোগ বাড়াতেই দুয়ারে দুয়ারে সরকারের মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে মমতা সরকার।