বাংলার গৃহবধূদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তুলতে দ্রুত বাস্তবায়িত হতে চলেছে প্রস্তাবিত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প (Laxmi Bhandar Scheme)। ওই প্রকল্পের রূপায়নে গতি আনতে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে সমস্ত জেলাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি একটি ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের কাছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের প্রস্তাবিত উপভোক্তাদের তালিকা প্রস্তুত করে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই তালিকা হাতে পাওয়ার পরেই তা খতিয়ে দেখে প্রকল্প রূপায়নের কাজ শুরু হবে।
এছাড়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচারের জন্যও জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন এমন একজনের নামও যেন বাদ না পড়ে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। আর তারজন্য প্রচার পত্র তৈরি করে বিলি করার নির্দেশেও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া লোকশিল্পীদের পথনাটিকা ও গানের মাধ্যমেও এই প্রকল্প সম্পর্কে প্রচার চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন। প্রাথমিক সমীক্ষা অনুযায়ী প্রায় ১ কোটি ৬৯ লক্ষের বেশি মহিলা এই প্রকল্পের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবেন। প্রকল্পের প্রস্তাব অনুযায়ী তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা মাসে এক হাজার এবং সাধারন শ্রেণির মহিলারা মাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প রূপায়নের জন্য চলতি আর্থিক বছরের বাজেটে ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার পর্বে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সমস্ত প্রকল্পগুলির কথা বলতেন তারমধ্যে অন্যতম ছিল এই প্রকল্প। সেক্ষেত্রে তৃতীয়বার ক্ষমতয় আসার পরেই তা বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ইতিমধ্যেই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের ভাতা বৃদ্ধি এবং স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো প্রকল্পগুলির সূচনাও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।