মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুর দিনই হাতির হামলায় প্রাণ হারিয়েছে এক পরীক্ষার্থী। সেই ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতার উদ্দ্যেশে রওনা হওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "জলপাইগুড়িতে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি যাতে পরীক্ষা নির্বিঘ্নে করা যায় সে ব্যবস্থা করতে। মাধ্যমিক পরীক্ষা যাতে নির্বিঘ্নে হয়, সে জন্য সব ব্যবস্থা রাখতে হবে"।
মৃত ছাত্র অর্জুন দাসের বাড়িতে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক এবং শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে যাওয়ার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এই খবরটা শোনার পর থেকেই মনটা খুব খারাপ হয়ে গেছে। জীবনের প্রথম একটা সাকসেসফুল জায়গায় যাওয়ার আগেই ধাক্কা। এটা তো আমাদের হাতে নেই। কারণ হাতিল সংখ্যা এক বেড়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম যাতে একটা রেস্ট্রিকশানের মধ্যে রাখা যায়। কিন্তু অনেক সময় এনভায়ারনমেন্টালিস্ট আর ফরেস্টের লোকেরা, ফরেস্টের ব্যাপারে বিশেষ করে যে গ্রিন ট্রাইবিনাল কোর্টগুলো আছে, তারা হাতি কন্ট্রোল করার আজ পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। আমরা আবার তাদের কাছে যাব, আবেদন করব"।
এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, "হাতির সংখ্যা এত বেড়ে গেছে। নেপাল-বাংলাদেশ অন্য কায়দায় এদের ট্র্যাকেল করে, আমরা পারি না, ঝাড়খন্ড পারে না। ফলে ঝড়াখন্ড ও আমাদের এই প্রবলেমটা খুব হচ্ছে। এর থেকে মর্মান্তিক ঘটনা তো কিছু হতে পারে না। এগুলো আমাদের হাতেও নেই"। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "শিক্ষা দফতরকে বলেছি, প্রয়োজন হলে ফরেস্ট এরিয়ায় যাঁরা থাকেন, তাঁদের জন্য পরীক্ষার সময় বাসের অ্যারেঞ্জমেন্ট করে দিতে। ফরেস্টকে আরও একটু সিরিয়াস এবং পুলিশকেও বলব আরও একটু নজর রাখতে, যাতে এই ধরণের জিনিস থেকে মানুষ রক্ষা পায়"।
আজ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে বেরিয়েছিল অর্জুন নামে এক পরীক্ষার্থী। সেই সময় হামলা চালায় একটি দলছুট হাতি। হামলায় গুরুতর জখম হয় অর্জুন। তাকে নিয়ে তড়িঘড়ি জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। কিন্তু হাসপাতাল যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর।
আরও পড়ুন - রাজনাথ সফরেই BBC-র তথ্যচিত্র স্ক্রিনিং বিশ্বভারতীতে, প্রতিবাদে BJP