scorecardresearch
 

Mamata Banerjee : 'অনেকেই বলছে পাথরের মতো...' ঘূর্ণিঝড় মোকা ঠিক কী বললেন মমতা?

আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, ৬ তারিখ দক্ষিণপূর্ণ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা। যেটা পরবর্তী ক্ষেত্রে ৭ তারিখ নিম্নচাপ। আর এর থেকে গভীর নিম্নচাপ। আর ৯ তারিখে উত্তরদিকে সরে মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা। তবে ৬ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। ৬ থেকে দিনের তাপমাত্রা একটু করে বাড়বে। ১০ তারিখ পর্যন্ত দুর্যোগের কোনও সম্ভাবনা নেই। 

Advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সতর্কবার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সতর্কবার্তা
হাইলাইটস
  • প্রশাসনিক বৈঠক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
  • মুখ খুললেন মোকা নিয়ে
  • দিলেন সতর্কবার্তাও

ঘূর্ণিঝড় মোকা কি ধেয়ে আসছে? যার জেরে ঘনিয়ে আসবে দুর্যোগ? এই নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন রয়েছে দক্ষিণবঙ্গবাসীর মধ্যে। তারই মাঝে আগাম সতর্কতা অবলম্বনের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মালদা ও মুর্শিদাবাদের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, '৭ তারিখ মোচা না মোটা কী একটা আসছে! অনেকেই বলছে পাথরের মতো কিছু একটা আসবে, আর সব নাকি দুমদাম করে ভেঙে দিয়ে চলে যাবে। নানা লোক নানা রকম বলছে। আমাদেরও একটা আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের দল রয়েছে। আমরা যদি আগে থেকে সতর্ক হতে পারি, তবে উপকুলবর্তী এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে'। 

এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, ৬ তারিখ দক্ষিণপূর্ণ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা। যেটা পরবর্তী ক্ষেত্রে ৭ তারিখ নিম্নচাপ। আর এর থেকে গভীর নিম্নচাপ। আর ৯ তারিখে উত্তরদিকে সরে মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা। তবে ৬ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। ৬ থেকে দিনের তাপমাত্রা একটু করে বাড়বে। ১০ তারিখ পর্যন্ত দুর্যোগের কোনও সম্ভাবনা নেই। 

কীভাবে হল নামকরণ?
এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে ইয়েমেন। ওই দেশের বন্দর শহরের নাম 'মোকা'। আর সেখান থেকেই এই নাম এসেছে। ইয়েমেনের রাজধানীর প্রধান বন্দর ছিল এই মোকা। সেখানেই কফি মোকা-র চাষ হত। এই বন্দর দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইয়েমেনের কফি রফতানি করা হয়। তাই কফি বিলাসীদের কাছে এই নাম অত্যন্ত জনপ্রিয়। অর্থাৎ মোকার আক্ষরিক কোনও অর্থ নেই। কিন্তু, এর সঙ্গে কফির গুরুত্বপূর্ণ যোগ রয়েছে।

বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে সৃষ্টি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের ক্ষেত্রে ১৩টি দেশের সুপারিশ লাগে। ২০০০ সালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO) বা ESCAP-র দেশগুলি মিলে ঘূর্ণিঝড়ের নাম সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেবে। এই দেশগুলির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড। WMO/ESCAP-র 'প্যানেল অন ট্রপিকল সাইক্লোন'-এর কাছে নামের তালিকা উপস্থাপিত করা হয়। ২০১৮ সালে ইরান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীকেও WMO/ESCAP-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একটা বিষয় জানা জরুরি, ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত, বিশ্বের কোনও গোষ্ঠীকে আঘাত পৌঁছতে পারে এমন  নাম দেওয়া যাবে না এবং একই নামের পুনরাবৃত্তি করা যাবে না। 
 

Advertisement

Advertisement