রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় শুভেন্দুর বাড়িতে CID-র প্রতিনিধি দল। আজ দুপুরে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল যান শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে। সূত্রের খবর সেই সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। CID আধিকারিকরা দিব্যেন্দু অধিকারীকে কাছে পেয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন।
শুভব্রত চক্রবর্তী শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষী দলের সদস্যদের মধ্যে একজন ছিলেন। যখন তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন শুভেন্দু, তখন থেকে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্বে ছিলেন শুভব্রত। কিন্তু, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান শুভব্রত। সরকারিভাবে জানানো হয়, রাজ্য পুলিশের বছরের ওই কর্মী আত্মহত্যা করেছেন৷
এদিকে চলতি মাসের ৭ জুলাই কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শুভব্রতর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। দাবি জানান পূর্ণাঙ্গ তদন্তেরও। এরপরই তদন্তভার হাতে নেয় CID।
আরও পড়ুন : করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যেই রাজ্যগুলিকে সতর্কবার্তা কেন্দ্রের
আজ বেলা ১২টা নাগাদ কাঁথি থানাতে যায় CID-র প্রতনিধি দল। সেখান থেকে তাঁরা যান কাঁথি পুলিশ ব্যারাকে। এই ব্যারাকেই থাকতেন শুভব্রত। তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। এই ব্যারাকের কাছেই রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি। সেখানেও যান গোয়েন্দারা। তবে শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন না বাড়িতে। গোয়েন্দারা গোটা এলাকার ভিডিওগ্রাফি করেন। তখন সেখানে আসেন দীব্যেন্দু অধিকারী। তিনি তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলেন ও গোটা বাড়ি ঘুরিয়ে দেখান। সেখানে বেশ কয়েকজনের বয়ান রেকর্ডও করেন আধিকারিকরা।
যদিও CID-র আসা নিয়ে এখনও পর্যন্ত অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্য বা তদন্তকারী দলের কেউই মুখ খোলেননি। তবে অধিকারী পরিবারে CID-র প্রবেশ নিয়ে জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা প্রয়োজনে শুভেন্দু অধিকারীকে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে এই মামলার প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করতে পারেন। সেই ২০১৮ সালে মৃত্যু হয়েছিল শুভব্রতর। তার এতদিন পরে থানায় গেলেন মৃতের স্ত্রী। এই নিয়ে সুপর্ণা দাবি করেছিলেন, শুভেন্দু শক্তিশালী। সবাই ওঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পান। তাই সেই সময় তিনি অভিযোগ করতে পারেননি।