scorecardresearch
 

নওশাদের অভিযোগ কাজে বাধা দিচ্ছে 'বিজেমূল', কিন্তু কেন?

ভোটে জেতার পর থেকেই মানুষের কাজ করার ক্ষেত্রে তাঁকে বিভিন্ন ভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ নওশাদ সিদ্দিকীর। এমনকী তাঁর সাংবিধানিক অধিকারও খর্ব করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ। নিজের বিধানসভা এলাকা ভাঙড়ে বাড়ি পাচ্ছেন না বলে কিছুদিন আগেই অভিযোগ করেন নওশাদ। তারপর বিধানসভায় হয়ে যাওয়া সোমবারের সর্বদল বৈঠকের বিষয়েও তাঁকে কিছু জানানো হয়নি বলে দাবি আইএসএফ (ISF) বিধায়কের। তার প্রেক্ষিতে বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু বারংবার কেন এই ধরনের অভিযোগ তুলছেন তিনি? কেন বারেবারে এই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁকে?

Advertisement
নওশাদ সিদ্দিকী নওশাদ সিদ্দিকী
হাইলাইটস
  • সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টার অভিযোগ
  • "বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে গোপন আঁতাত রয়েছে"
  • অভিযোগ ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়কের

বিধানসভা নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চার তরফে একমাত্র জয়ী হয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকী (Nausad Siddiqui)। সেইদিক থেকে দেখতে গেলে বর্তমান বিধানসভায় সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র প্রতিনিধি তিনিই। কিন্তু ভোটে জেতার পর থেকেই মানুষের কাজ করার ক্ষেত্রে তাঁকে বিভিন্ন ভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ নওশাদের। এমনকী তাঁর সাংবিধানিক অধিকারও খর্ব করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ। নিজের বিধানসভা এলাকা ভাঙড়ে বাড়ি পাচ্ছেন না বলে কিছুদিন আগেই অভিযোগ করেন নওশাদ। তারপর বিধানসভায় হয়ে যাওয়া সোমবারের সর্বদল বৈঠকের বিষয়েও তাঁকে কিছু জানানো হয়নি বলে দাবি আইএসএফ (ISF) বিধায়কের। তার প্রেক্ষিতে বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু বারংবার কেন এই ধরনের অভিযোগ তুলছেন তিনি? কেন বারেবারে এই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁকে?

এই বিষয়ে নওশাদ সিদ্দিকী জানাচ্ছেন, "কিছুদিন আগে 'বিজেমূল' নামে একটি শব্দ খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। অর্থাৎ বিজেপি (BJP) ও তৃণমূলের (TMC) মধ্যে গোপন আঁতাত রয়েছে। বিজেপি আর তৃণমূল নিজেদের মধ্যে সেটিং করে ওই দুই দলের বাইরে আর কিছু রাখতে চাইছে না।" নওশাদের আরও দাবি, তিনিই একমাত্র বিজেপি ও তৃণমূলের বাইরে। তাই তাঁকে আটকে দিতে পারলে আগামী নির্বাচনগুলিতে ওই দুই দলের, বিশেষত তৃণমূলের সবচেয়ে বেশি সুবিধা হবে। সেক্ষেত্রে দলিত, আদিবাসী ও মুসলিম ভোটটা পুরোটাই পেয়ে যাবে তৃণমূল। মূলত সেই কারণেই তাঁকে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি ভাঙড়ের বিধায়কের। তবে যতই বাধা আসুক, তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েই তিনি নিজের কাজ চালিয়ে যাবেন বলে সাফ জানিয়ে দেন নওশাদ। 

এদিকে নির্বাচনে ভরাডুবির পর সংযুক্ত মোর্চার ভবিষ্যৎ নিয়েও তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। এই পরিস্থিতিতে মোর্চার একমাত্র বিধায়কের প্রতি এহেন আচরণের প্রেক্ষিতে বাকি দুই শরিক বাম ও কংগ্রেসের কী অবস্থান? উত্তরে নওশাদ জানাচ্ছেন, কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান (Abdul Mannan) প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। অন্যদিকে বাম নেতা বিমান বসু (Biman Bose) জানিয়েছেন, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে সংযুক্ত মোর্চার পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সেক্ষেত্রে এখন দেখার সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র বিধায়কের আগামিদিনের চলার পথে বাস্তবেই কতটা পাশে থাকে বাম-কংগ্রেস। 

Advertisement

 

Advertisement