রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হলেও পুরভোট (West Bengal Municipal Elections 2021) নিয়ে মোটামুটি ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছে সবপক্ষই। এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে সেই অনুযায়ী, আগামী ১৯ ডিসেম্বর হতে পারে কলকাতা ও হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচন। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের প্রস্তাবে সম্মতিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যদিও সরকারের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে বিজেপি। আদালতের পথেও হেঁটেছে তারা।
এদিকে এরই মাঝে সমানতালে নির্বাচনী প্রস্তুতিও চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপি (BJP)। কিন্তু কী অবস্থা বাকিদের? এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার, গত বিধানসভা ভোটে জোট করে লড়েছিল বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফ। সংযুক্ত মোর্চা নামে নির্বাচনী লড়াইতে নেমেছিল এই তিন দল। যদিও ফলাফলে দেখা যায়, মাত্র একটি আসনে জিতেছে সংযুক্ত মোর্চা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে (Bhangar) জয়ী হন আইএসএফ প্রার্থী নওশাদ সিদ্দিকী।
অন্যদিকে ভোটের পরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে আইএসএফ-এর সঙ্গে আর কোনওরকম সম্পর্ক রাখবেন না তাঁরা। অধীরের সেই মন্তব্যের পরেই সংযুক্ত মোর্চার ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠে গিয়েছিল প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে পুরভোটের প্রস্তুতি। সেক্ষেত্রে এই ভোটে ফের একবার বাম (Left Front)-কংগ্রেস (Congress)-আইএসএফ (ISF)-এর সংযুক্ত মোর্চাকে দেখা যাবে কি না, তৈরি হয়েছে সেই প্রশ্নও। এমনকী অধীরের সেই মন্তব্যের পরে আইএসএফ-ই বা কী স্ট্র্যাটিজি নিচ্ছে, তা নিয়েও দানা বেঁধেছে জল্পনা।
নওশাদ সিদ্দিকী যা জানালেন
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের একমাত্র আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (Naushad Siddiqui) বলেন, 'আগামী ১৪ তারিখ দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হবে, পুরভোটে দল জোটে লড়াই করবে, না কি একলা চলবে।' তবে পুরভোটে আইএসএফ যে লড়াই করবে তা নিশ্চিত করে দেন তিনি। যদিও সব কেন্দ্রে অবশ্য দল প্রার্থী দেবে না বলেই জানান নওশাদ। এক্ষেত্রে যেখানে দলের জয়ের সম্ভাবনা আছে বা যে সব জায়গায় সংগঠন মজবুত রয়েছে, সেই জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে অধীর চৌধুরীর বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নওশাদ বলেন, 'অনেকে অনেক কথা বলেন, তবে ভোটের সময় সেটা পরিবর্তন হয়।' সেক্ষেত্রে এখন দেখার, আসন্ন পুরভোটে কোন রণকৌশন নেয় আইএসএফ? একইসঙ্গে পুরনির্বাচনের লড়াইতে সংযুক্ত মোর্চাকেও আর দেখা যায় কি না সেদিকেও নজর রয়েছে রাজনৈতিকমহলের।