পুরুলিয়ায় পুলিশ আধিকারিককে বেধড়ক মারধরের ভিডিও ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। পুলিশ পেটানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ঝালদার দুই বাসিন্দাকে। ঘটনা নিয়ে শুরু TMC-BJP রাজনৈতিক তরজা।
আহত পুলিশ আধিকারিক জানান, পুরুলিয়ায় ঝালদা মেসো মোড় এলাকায় একটি আবাস তৈরিকে কেন্দ্র করে জমি বিবাদ তৈরি হয়। সেই বিবাদের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ঝালদা থানার পুলিশ আধিকারিক হেমন্ত কুমার শাহ। অভিযোগ, প্রথমে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় স্থানীয় বাসিন্দারের। এরপরই উত্তেজিত বাসিন্দারা ওই পুলিশ আধিকারিকের উপর চড়াও হন। ঘটনার পরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়াই। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ অধিকারিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
গত মঙ্গলবার পুরুলিয়া ঝালদা থানার ইচাগ অঞ্চলের মেসোমোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্য়েই ধৃতদের পুরুলিয়া জেলা আদালতে পেশ করেছে ঝালদা থানার পুলিশ। ঘটনায় যুক্ত দুই যুবক রূপেশ তিওয়ারি, কাঞ্চন তিওয়ারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার পরই রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। পাল্টা বিরোধীদের রাজ্য় বিজেপির সভাপতির কথা স্মরণ করিয়েছে শাসক দল।
এ বিষয়ে তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ''বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বহুদিন ধরেই পুলিশকে মারধর করার জন্য় জনগণকে উস্কাচ্ছেন। অতীতেও পুলিশকে মার্ক করে রাখার কথা বলেছেন তিনি। এমনকী বউ-বাচ্চার মুখ দেখতে পারবেন না বলেও পুলিশকর্মীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে।''
যার উত্তর দিয়েছে বিজেপিও। পদ্ম শিবিরের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, ''বাংলায় যে জঙ্গলরাজ চলছে, তা আরও একবার প্রকাশ্য়ে এল। সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের কী সম্পর্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে। রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের শাসনে এই ঘটনা নতুন নয়।'' এ বিষয়ে রাজ্য়ের ওয়াকিবহাল মহল বলছে, অতীতেও তৃণমূলের শাসনে পুলিশকে ''টেবিলের তলায় লুকোতে দেখা গিয়েছে। বহুবার শাসক দলের নেতাদের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে পুলিশকে। থানায় ঢুকে তৃণমূলের তাণ্ডবের ঘটনাও নতুন নয়।