বঙ্গে বর্ষার প্রবেশ ঘটেছে। তবে তা উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসতে এখনও কয়েকদিন বাকি আছে বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। তবে ১২ তারিখ পর্যন্ত গোটা রাজ্যজুড়েই ঝড়বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এক্ষেত্রে একটা বিষয় অবশ্যই উল্লেখ্য, তা হল বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে প্রায় প্রতিদিনই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হচ্ছে শহর কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। সেক্ষেত্রে আগামী বর্ষার মরশুমে রাজ্যে ভালই বৃষ্টিপাত হবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
এদিকে পরিবেশবিদদের কেউ কেউ বলছেন এবার যে ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে তার সঙ্গে পরিবেশের একটা বিরাট সম্পর্ক রয়েছে। এই প্রসঙ্গে পরিবেশবিদ দীপজ্যোতি চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, 'কোভিড ১৯ সংক্রান্ত লকডাউন পরিস্থিতির জন্য বর্তমানে আকাশ অনেক পরিস্কার, নদীর জল অনেক পরিস্কার, নদীতে দীর্ঘদিন পর শ্যাওলা দেখা যাচ্ছে। গত ২ বছরে গাছও অনেক বেশি সবুজ, ফলন বেড়েছ। তাই বৃষ্টিটাও প্রচুর হবে।' অর্থাৎ আগের তুলনায় এবার বর্ষাটা বেশি হবে এবং বেশিদিন ধরে থাকবে বলেই মনে করেন এই পরিবেশবিদ।
এদিকে রাজ্যে যে শুধু ঝড়বৃষ্টিই চলছে এমন নয়, সঙ্গে হয়ে চলেছে বজ্রপাত। তাতে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বেশকয়েকজনের। শুধুমাত্র সোমবারই বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কেন এত বজ্রপাত? এরসঙ্গেও আবহাওয়া পরিবর্তনের যোগ রয়েছে বলে জানাচ্ছেন দীপজ্যোতি চক্রবর্তী। তিনি বলেন, 'আকাশে মেঘ বেশি থাকলে বাজ পড়ে। এটা প্রকৃতির ফল। যেখানে মেঘের আনাগোনা নেই সেখানে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির বিষয়টাই নেই। যেখানে মেঘ বেশি, মেঘের মধ্যে নাইট্রোজেন বেশি, সেখানে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হবে।' দীপজ্যোতিবাবুর মতে, সবটাই হচ্ছে আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্য। আর দূষণ কমার জন্যই আবহাওয়ার এমন পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে করেছন তিনি। অন্যদিকে এই ধরনের লকডাউন আগামিদিনে মাসে একবার বা দু'বার করে সরকারের তরফে করা হলে, পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রাও অনেকটা কমবে বলে মনে করেন পরিবেশবিদ দীপজ্যোতি চক্রবর্তী।