দেশজুড়ে চলছে টিকাকরণ কর্মসূচি (Vaccination Program)। টিকাকরণের পক্ষে বারেবারেই প্রচার চালাচ্ছে সরকার। চলছে টিকার যোগান বৃদ্ধির চেষ্টা। অন্যদিকে এরই মাঝে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাঝেমাঝেই উঠছে টিকার আকালের অভিযোগ। দীর্ঘ লাইন দিয়েও টিকা মিলছে না বলে অভিযোগ তুলছেন সাধারণ মানুষ। সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। রাজ্যেরও বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় প্রতিদিনই উঠে আসছে টিকাকরণ সংক্রান্ত অভিযোগ। কোথাও টিকা না পেয়ে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ মানুষ, কোথাও আবার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও উঠছে স্বজনপোষন ও অব্যবস্থার অভিযোগ।
এরই মাঝে ভিন্ন চিত্র দেখা গেল হুগলির রিষড়া পৌরসভায় (Rishra Municipality)। যেখানে বিভিন্ন জায়গায় ভ্যাকসিন নিয়ে উঠছে বিবিধ অভিযোগ, সেখানে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজারেরও বেশি টিকাকরণ করেছে রিষড়া পৌরসভা। এই প্রসঙ্গে পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক বিজয় সাগর মিশ্র জানাচ্ছেন, যখন যেমন ভ্যাকসিন মিলছে তেমনই দেওয়া হচ্ছে। কোনও কোনও দিন ৮০০ বা ১০০০ ভ্যাকসিনও দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে লাইন দিয়ে টিকাকরণ হলেও সবটাই হচ্ছে কোভিড বিধি মেনে। কোনও কোনও সময় রবিবারও ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে বলে জানান পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক। তিনি আরও জানাচ্ছেন, আগে ৩টি কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল, তবে এখন টিকাকরণ চলছে ২টি কেন্দ্র থেকে। এক্ষেত্রে আগামিদিনেও রাজ্য সরকারের যেমন নির্দেশ আসবে, তেমনটাই অনুসরণ করা হবে বলে জানান বিজয় সাগর মিশ্র।
প্রসঙ্গত, সোমবার ডিএম-এসপিদের সঙ্গে বৈঠকে টিকাকরণ (Vaccination) নিয়ে বেশকিছু তথ্য তুলে ধরেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৪১ লক্ষ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে কমপক্ষে ১.১ কোটিকে প্রথম ডোজ এবং ৪০ লক্ষকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মমতা। তিনি আরও জানান রাজ্য সরকার নিজেদের টাকায় ভ্যাকসিন কিনছে। মে মাসে প্রায় ১৮ লক্ষ ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে এবং জুন মাসে আরও ২২ লক্ষ ভ্যাকসিন কেনা হবে। এরজন্য ১১৪ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া সুপার স্প্রেডার, অর্থাৎ যাঁরা বেশি মানুষের সংস্পর্শে আসেন, যেমন সবজি বিক্রেতা, মাছ বিক্রেতা, পরিবহণ কর্মীদের টিকাকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত এই ধরনের প্রায় ৯ লক্ষ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।