সালটা ছিল ২০১৫।তিন নম্বর রবিনসন স্ট্রিটের বাড়ি থেকে অগ্নিদ্বগ্ধ বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে ৩টি কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছিল। আর এই নিয়েই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। তদন্তে নেমে যা যা তথ্য সামনে এসেছে তাতে দিশেহারা অবস্থা হয় পুলিশের। দীর্ঘ সময়ে পরিজনদের দেহ নিয়ে একমাত্র জীবিত সদস্য পার্থ দে কীভাবে ছিলেন তাতে হতবাক হয়ে যায় রাজ্যবাসী। পরবর্তীতে রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া রাজ্যের আরও নানা প্রান্তে দেখা গেছে। এবার তেমন ঘটনা পাওয়া গেল পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারিতে। জানা যাচ্ছে বোনের মৃতদেহের সঙ্গেই চলছিল বসবাস । অগত্যা গন্ধ বের হতেই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। উদ্ধার হল পচাগলা মধ্যবয়স্কা বোনের দেহ । ঘটনায় হতভম্ব এলাকাবাসী। জানা যাচ্ছে মধ্যবস্কা দুই বোনই মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি ১ নম্বর ব্লকের মেমারি পৌরসভার অন্তর্গত কৃষ্ণ বাজার এলাকার এই ঘটনা ঘিরে এখন শোরগোল পড়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম সুপ্তিকণা কোলে। বয়স ৫১ বছর, বাড়ি মেমারি পৌরসভার অন্তর্গত কৃষ্ণ বাজারের কলেজ মোড় এলাকায়।। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মৃতা ও তাঁর বোন মুক্তিকণা নিজেদের দোতলা বাড়িতেই থাকতন। বৃহস্পতিবার সেই বাড়ি থেকে প্রচন্ড দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে স্থানীয়রা মেমারি থানায় খবর দেয়। মেমারি থানার পুলিশ বাড়ির তালা ভেঙে দেখেন মহিলার পচা গলা দেহ বিছানায় পরে থাকতে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মৃতারা তিন বোন । দু বোন একসঙ্গে থাকতেন এবং তাঁরা ই মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। বড় দিদি দুর্গাপুরে থাকেন। মৃত মহিলার বোন তার দেহের সঙ্গে বিগত তিন চারদিন ধরে থাকছিলেল। বৃহস্পতিবার সকালে মৃতার বোন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মৃত দুই বোনের বিষয়-সম্পত্তি একটি আশ্রমে দান করা ছিল। বাড়ির পিছনেই আশ্রম। মৃতার বোন বৃহস্পতিবার ভোররাতে পরমানন্দ আশ্রম থেকে বেরিয়ে বনোগ্রাম আশ্রমের চলে যান। তাঁদের ১০১ বছরের বৃদ্ধ বাবা তিনকড়ি কোলে বননবগ্রাম আশ্রমে থাকেন । সম্ভবত বাবাকে দিদির মৃত্যু খবর দিতেই যাচ্ছিলেন বোন । কিন্তু রাস্তা থেকেই তাকে পুলিশ আটক করেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।