শিলিগুড়ি পুরনিগম নির্বাচনের আগেই বামেদের ঘরে ভাঙন। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির পুরনিগমের প্রাক্তন দুই কাউন্সিলর সিপিআইএম ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে। একই সঙ্গে বিজেপি সহ অন্যান্য দল থেকে আরও বেশ কয়েকজন এদিন যোগ দেন রাজ্যের শাসক শিবিরে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতা দখল করলেও দার্জিলিং জেলায় ধরাশায়ী হয়েছে শাসক দল। তাই সামনে যত পুরসভা এবং মহাকুমা পরিষদ নির্বাচন আছে, এখন সেগুলিকেই পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যে এবার শিলিগুড়িতে বামেদের বড় ধাক্কা দিল রাজ্যের শাসকদল। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পুরনিগমের বিগত বোর্ডের দুই বাম কাউন্সিলর যোগ দিলেন তৃণমূলে। দলত্যাগী এই দুই কাউন্সিলর হলেন ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের শর্মিলা দাস এবং ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের তাপস চট্টোপাধ্যায়।
এদিন শুধু এই দুই কাউন্সিলরই নন, বিজেপি থেকেও বেশ কয়েকজন তৃণমূলে যোগদান করেন। যোগদানকারীদের হাতে এদিন দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অলক চক্রবর্তী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
'অনেকেই যোগ দিতে চাইছেন'
এদিন গৌতম দেব বলেন, অনেকেই দলে আসার জন্য যোগাযোগ করেছেন। তার একটি তালিকা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে যখন নির্দেশ আসবে সেইমতো দলে যোগদান করানো হবে। অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখে দলে অনেকেই যোগ দিতে চাইছেন। তবে দলে যোগ দিয়ে কেউ যদি দলকে ব্যবহার করতে চায় তাহলে রেয়াত করা হবে না।
অপরদিকে শাসকদলে যোগ দিয়ে প্রাক্তন বাম কাউন্সিলার শর্মিলা দাস বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে যেভাবে তৃণমূল লড়াই করছে তাতে শামিল হতেই এই সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, মানুষ বামেদের প্রত্যাখ্যান করেছেন তাই ওই দলে থেকে আর লাভ নেই। আগামিদিনে দলের কর্মী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই এগিয়ে যেতে চান তিনি।