জৈন হাওয়ালকাণ্ডে তৃণমূল-রাজ্যপাল (Governor Jagdeep Dhankhar) সংঘাত জারি। মঙ্গলবার ফের রাজ্যপালকে একহাত নিল তৃণমূল। রাজ্যপাল 'অর্ধসত্য' বলছেন বলে এদিন ফের একবার দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এদিন সাংবাদিক বিনীত নারায়ণের ফেসবুক পোস্টের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন সুখেন্দুশেখর রায়। তৃণমূল সাংসদ বলেন, "বিনীত নারায়ণ ফেসবুকে লিখেছেন, জগদীপ ধনখড়ের দাবি জৈন হাওয়ালাকাণ্ডের চার্জশিটে তাঁর নাম ছিল না, এবং সবাই নাকি হাওয়ালা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে গিয়েছেন। বিনীত নারায়ণ দাবি করেছেন এই মামলার কোনও ট্রায়াল হয়নি। ৩০ বছর হয়ে গেলেও মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে বলে জানা যায়নি। সুতরাং অব্যাহতি পাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।"
এদিন সাংবাদিকদের সামনে বেশকিছু কাগজপত্র তুলে ধরে তৃণমূল। এরপর সুখেন্দুশেখর (Sukhendu Sekhar Roy) বলেন, "আরও একজন ধনখড়ের নাম জৈন হাওযালাকাণ্ডে জড়িয়ে গিয়েছে। জৈন ডায়েরির একটি পাতায় সর্বশেষ নাম রয়েছে ধনখড়। নামের পাশে ৫ লেখা রয়েছে।" তৃণমূল সাংসদ বলেন, "এই মামলা চলাকালিন বহু রাজনৈতিক নেতার নাম ওঠে। তাঁরা লক্ষ লক্ষ টাকা উৎকোচ নিয়েছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। তাতে এই ধনখড়ের নামও রয়েছে। সেই ধনখড় এবং রাজ্যপাল জগদীপ খনখড় একই ব্যক্তি কি না তা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। সেটা ধনখড়রাই বলতে পারবেন এটা কোন খনখড়।"
সুখেন্দুশেখরের পাশাপাশি এদিন রাজ্যপালকে আক্রমণ করেন আরও এক তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তিনি বলেন, "উত্তরবঙ্গে গিয়ে রাজ্যপাল বিচ্ছিন্নতাবাদী বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করছেন। তিনি বলছেন জিটিএর হিসেব তাঁকে দেওযা হয়নি। আইন বলছে সেই হিসেব পার্বত্যদফতরের মন্ত্রীর কাছে থাকবে। আর তা স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল চাইলেই তা তাঁর কাছে পৌঁছে যেত। কিন্তু তিনি সরকারকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেন।" রাজ্যপালই সংবিধানের সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘনকারী বলেও অভিযোগ করেন ব্রাত্য।
প্রসঙ্গত জৈন হাওয়ালাকণ্ডের এফআইআর-এ রাজ্যপালের নাম রয়েছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এরপরেই সাংবাদক সম্মেলন ডেকে সরাসরি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন রাজ্যপাল। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ভুল তথ্য দিচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি।