বিজেপি সমর্থকের দোকানে ভাঙচুর এবং বাধা দেওয়ায় বাড়ির মহিলাদের মারধরের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। হুগলির খানাকুলের (Khanakul Hooghly) নন্দনপুর এলাকার ঘটনা। এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, রাজ্যে তালিবানি রাজ চলছে। যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। একইসঙ্গে তিনি বলেন, "সত্যিই কোথাও এই ধরনের ঘটনা ঘটলে, তবে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।"
জানা গিয়েছে, খানাকুলের জগতপুর নন্দনপুর এলাকায় ফুটবল মাঠের পাশে চায়ের দোকান চালান বিজেপি (BJP) সমর্থক সঞ্জয় মালিক। একইসঙ্গে পরিবার নিয়ে সেখানেই থাকেন তিনি। অভিযোগ, গত মঙ্গলবার সঞ্জয়বাবুর দোকানে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা। এমনকী বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয় তাঁর স্ত্রীকেও। পাশাপাশি যতদিন না সঞ্জয়বাবু তৃণমূলের দলীয় দফতরে গিয়ে বসছেন ততদিন দোকান খোলা যাবে না বলে ফর্মানও জারি করা হয়। বিষয়টি জানতে পারে বৃহস্পতিবার এলাকায় গিয়ে দোকানটি খোলান স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। সুশান্তবাবুর অভিযোগ, তিনি সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর ফের চড়াও হয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এমনকী বাড়ির মহিলাদের ওপরে অত্যচারের চেষ্টা করা হয় বলেও দাবি তাঁর। সুশান্তবাবুর মন্তব্য, "গোটা পশ্চিমবঙ্গে তালিবানি রাজ চলছে, কিন্তু বিজেপি তা বরদাস্ত করবে না।" এই বিষয়ে পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
যদিও বিজেপি বিধায়কের এই অভিযোগ মানতে চাননি তৃণমূলের (TMC) হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। তাঁর পালটা দাবি, "তৃণমূল কারও পেশাগত ও ব্যক্তিগত কাজে বাধা দেয় না। এটা বিজেপির মনগড়া অভিযোগ।" তা সত্ত্বেও এই ধরনের কোনও ঘটনা কোথাও হলে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয় বলে দাবি করেন দিলীপবাবু। এমনকী দলের তরফে খোঁজখবর নিয়েও বিষয়টির সমাধান করা হয় বলে জানান তিনি। এক্ষেত্রে রাজনীতি করার জন্য নয়, সত্যিই কোথাও এই ধরনের ঘটনা ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি।