পূর্ব বর্ধমানে গোষ্ঠী কোন্দল পিছু ছাড়ছে না তৃণমূলের (TMC)। এবার প্রকাশ্য রাস্তায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বচসা। একপক্ষের অভিযোগ করোনা মোকাবিলার সামগ্রী বিতরণে বাধা দিচ্ছেন বিধায়কের অনুগামীরা। অপর পক্ষের দাবি, অঞ্চল সভাপতির অনুমতি ছাড়া কোনও কর্মসূচি করা যাবে না। কারণ যাঁরা কর্মসূচির কথা বলছেন তাঁরা ভোটের সময় বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন।
পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) বৈকুণ্ঠপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য তথা শিল্প ও পরিকাঠামো কর্মাধ্যক্ষ মিতা দাসের অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণের জন্য রবিবার বর্ধমানের আলিশায় জিটি রোডের ধারে একটি হোটেলে জনা পঞ্চাশেক কর্মী নিয়ে বৈঠক করেছিলেন তিনি। সেই মতো এদিন কর্মীদের জমায়েতও শুরু হয়। কিন্তু বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিকের লোকজনেরা এসে বলেন, বিধায়কের নিষেধ থাকায় কর্মসূচি করা যাবে না। এক্ষেত্রে দলের কোনও কর্মসূচি নিশীথ কুমার মালিক করতে দেবেন না বলে অভিযোগ করেন মিতা দাস। তিনি আরও বলেন, দলের কয়েকজন কর্মী মিলে চাঁদা তুলে করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক স্যানিটাইজার বিতরণ করা হবে, কিন্তু তাতেও বিধায়ক ও তাঁর লোকজন বাধা দিলে কিছু বলার নেই।
অন্যদিকে, বিধায়কের অনুগামী তথা সংখ্যালঘু সেলের কর্মী মোজাম্মেল শাহ, সরাসরি মিতা দাসের বিরুদ্ধে আঙুল তোলেন। তিনি বলেন, মিতা দাস নির্বাচনের আগে নিশীথ কুমার মালিকের বিরুদ্ধে বুথ সভাপতিদের ফোন করে হুমকি দেন যাতে, তাঁরা নির্বাচনের কাজে না বের হন। বিজেপির (BJP) সঙ্গে আঁতাত করে বিধায়ককে হারানোর চেষ্টা করেছেন। এমনকী ভোটের সময় দেওয়াল লিখনে প্রার্থীর নাম পর্যন্ত লেখেননি। মোজাম্মেল শাহের দাবি, তৃণমূলের সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী অঞ্চল সভাপতি ও নির্বাচন কমিটির অনুমতি ছাড়া কেউ কোনও জমায়েত ও কর্মসূচি করতে পারবেন না।
এদিকে, বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক ফোনে মিতা দাসের উদ্দেশ্যে বলেন, "উনি ভোটে দলবিরোধী কাজ করেছেব। পাগল হয়ে গিয়েছেন। তাড়াতাড়িই ওঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হবে। তাঁর দল বিরোধী কাজের ফোন রেকর্ডিং ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ওঁর অঞ্চলে দল ২৩০০ ভোটে হেরেছে। উনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করছেন।" এক্ষেত্রে প্রয়োজনে মিতা দাসের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করারও হঁশিয়ারি দেন বিধায়ক। প্রসঙ্গত দিন দুয়েক আগেই বর্ধমানের রসিকপুরে তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত হন ৩ জন।