scorecardresearch
 

Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্যই সন্দেশখালির ঘটনা: শুভেন্দু

সন্দেশখালির ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই 'দায়ী' করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় সভা শেষে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর পুরনো ভাষণের ভিডিয়ো শোনান শুভেন্দু। তার পরে মমতাকেই এই ঘটনার জন্য দায়ী করেন তিনি।

Advertisement
সন্দেশখালির ঘটনায় সরব শুভেন্দু অধিকারী। সন্দেশখালির ঘটনায় সরব শুভেন্দু অধিকারী।
হাইলাইটস
  • সন্দেশখালির ঘটনায় তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর।
  • বেলডাঙার সভায় শুভেন্দু বলেন, 'শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে দুষ্কৃতি তাণ্ডব হয়েছে।'
  • শুভেন্দু বলেছেন, 'মাফিয়া ডনদের রাজত্ব খতম করবই।'

সন্দেশখালির ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই 'দায়ী' করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় সভা শেষে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর পুরনো ভাষণের ভিডিয়ো শোনান শুভেন্দু। তার পরে মমতাকেই এই ঘটনার জন্য 'দায়ী' করেন তিনি। বলেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে।'

শুক্রবার বেলডাঙার সভায় শুভেন্দু বলেন, 'শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে দুষ্কৃতি তাণ্ডব হয়েছে। চোর মমতার প্রিয় পাত্র শেখ শাহাজাহান। মমতার পুলিশ হয়তো জানতে পেরেছিল যে, তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে ইডি যাচ্ছে। তাই বাঁচাতে এ সব করেছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, পশ্চিমবঙ্গে কেউ সুরক্ষিত নেই।' নন্দীগ্রামের বিধায়ক আরও বলেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই। রাজ্যপালকে অনুরোধ করব, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চান।'

শেখ শাহাজাহানকে 'মাফিয়া ডন' বলে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু। বলেছেন, 'বিজেপি কর্মী খুনে অভিযুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশে লুকিয়ে ছিলেন। আগে সিপিএম করতেন। ২০১৩ সালের পর ডাকাত বালুর (জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক) চোর মমতার পাঠশালায় নাম লেখান। হেরোইন পাচার করেন বাংলাদেশে। অস্ত্র পাচার করেন। তাঁকে বাঁচানোর জন্য এ সব করা হয়েছে।' শুভেন্দু আরও বলেছেন, 'আমরা একে ছাড়ব না। নরেন্দ্র মোদী আছেন, মাফিয়া ডনদের রাজত্ব খতম করবই।'

আরও পড়ুন

কী ঘটেছে সন্দেশখালিতে?

শুক্রবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে হায় দেয় ইডির একটি দল। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে এই অভিযান বলে খবর। সরবেড়িয়া গ্রামে শাহাজাহানের বাড়ির দিকে ইডির আধিকারিকরা যাওয়ার চেষ্টা করলেই রুখে দাঁড়ান বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁরা শাহাজাহানের অনুগামী বলে দাবি। শাহাজাহানের বাড়িতে ডাকাডাকি করে সাড়া না পাওয়ায় দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন ইডির আধিকারিকরা। অভিযোগ, সেই সময়ই তাঁদের ঘিরে ফেলে মারধর করা হয়। ধাক্কা মেরে সরানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। ইডির আধিকারিকদের ধাওয়া করে এলাকা ছাড়া করা হয়। তাঁদের গাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই সময় তিন আধিকারিক জখম হন। আক্রান্ত হয় সংবাদমাধ্যমও। এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিজি, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবকে তলব করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 

Advertisement

Advertisement