scorecardresearch
 

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির শিবিরে হামলার অভিযোগ, তপ্ত আসানসোল

লাইন না-মানার অভিযোগ। আর এর জেরে হামলা চালানো হল স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) কার্ড তৈরির শিবিরে। রবিবার এমনই অভিযোগ উঠল আসানসোল (Asansol)-এ।

Advertisement
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরির শিবিরে ভাঙচুর। রবিবার আসনসোলে। ছবি: অনিল গিরি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরির শিবিরে ভাঙচুর। রবিবার আসনসোলে। ছবি: অনিল গিরি
হাইলাইটস
  • লাইন না-মানার অভিযোগ
  • আর এর জেরে হামলা চালানো হল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির শিবিরে
  • রবিবার এমনই অভিযোগ উঠল আসানসোলে

লাইন না-মানার অভিযোগ। আর এর জেরে হামলা চালানো হল স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) কার্ড তৈরির শিবিরে। রবিবার এমনই অভিযোগ উঠল আসানসোল (Asansol)-এ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সেখানে থাকা একদল যুবক হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের সালানপুর (Salanpur) থানা এলাকার বাসুদেব জেমারী এলাকায়।

আরও জানা গিয়েছে, এদিন এই এলাকায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির শিবির চলছিল। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবেই সেই কাজ চলছিল। বহু মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অভিযোগ সেই সময় কয়েকজন লাইন উপেক্ষা করে ঢুকতে যায়। তাদের বাঁধা দেন বাকিরা।

বাধা দিতে গেলে বসচা শুরু হয়। এরপর ওই যুবকেরা শিবিরে হামলা চালায়। চেয়ার টেবিল উল্টে দেয়। তছনছ করে দেয় শিবির। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার কারণে বেশকিছুক্ষন এই শিবির বন্ধ ছিল।

বেশ কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। সালানপুর ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে ফের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির শিবির শুরু হয়। ফের মানুষ লাইনে দাঁড়ান। এবং এরপর আর কোনও গোলমাল হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে, সামনেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। বাংলার মসনদে টিকে থাকতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। অনেকের মতে চাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় রাজ্যের প্রতিটি পরিবারকে আনবে সরকার। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, এবার থেকে রাজ্যের সব পরিবারকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে৷ আগামী ১ ডিসেম্বর থেকেই তা কার্যকর হবে। 

রাজ্যের প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যেই এনেছে সরকার, আরও আড়াই কোটি মানুষকে এই সুবিধা দেওয়া সাধ্যমতো চেষ্টা করছে সরকার, এদিন এমনটাই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা কোনও রকম স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পান না তাদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা ক্যাশলেস চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে ঘোষণা করা হয়। প্রতিটি পরিবারকে কার্ড ইস্যু করা হবে।

Advertisement

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে প্রতি বছর রাজ্যের ২০০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে৷ এই প্রকল্প সমাজের সবস্তরের মানুষের সুরক্ষার স্বার্থেই। বিশ্বের কাছে এই প্রকল্প দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলেই ধারণা মমতার। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভোটের আগে জনসংযোগ বাড়াতেই দুয়ারে দুয়ারে সরকারের মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে মমতা সরকার।

Advertisement