scorecardresearch
 

আফগানিস্তানে রয়েছে পরিবার-বন্ধুবান্ধব, উদ্বিগ্ন হাওড়ার আফগানরা

বর্তমানে হাওড়ার কাবুলি কুঠিতে ১২ জন আফগান রয়েছেন। তাঁদের বেশিরভাগেরই জন্ম ভারতে। তবে আফগানিস্তানে থাকা নিজেদের পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রায় সকলেই। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় আপাতত সংবাদমাধ্যম থেকেই আফগানিস্তানের পরিস্থিতি জানছেন তাঁরা। 

Advertisement
হাওড়ার কাবুলি কুঠির আফগানরা হাওড়ার কাবুলি কুঠির আফগানরা
হাইলাইটস
  • তালিবানের দখলে আফগানিস্তান
  • দুশ্চিন্তায় পশ্চিমবঙ্গের আফগানরা
  • নজর রাখছেন সংবাদমাধ্যমে

তালিবান আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল করেছে বেশ কয়েকদিন হল। আতঙ্কে সেই দেশের মানুষ। একই আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী আফগানদেরও। যেমন হাওড়ার রহিম খান। ম্যাসেঞ্জারে ও ফোনের মাধ্যমে বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের থেকে সেখানকার হালহকিকৎ জানার চেষ্টা করছেন। যদি কখনও যোগাযোগ সম্ভব হয় তাহলে কথা বলতে পারছেন, না হলে ভরসা শুধুই সংবাদমাধ্যম। 

একই অবস্থা আসলাম খানেরও। গত ২ সপ্তাহ ধরে আফগানিস্তানের গজনিতে বসবাসকারী তাঁর মাসি মরিয়মের কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে ন। যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে আসলাম। আর শুধু রহিম বা আসলমই নয়, হাওড়ার (Howrah) কাবুলি কুঠিতে বসবাসকারী প্রায় সমস্ত আফগানদেরই মনের অবস্থা এখন একইরকম।

ভেজা চোখ নিয়ে আসলাম খান বলেন, ২০ বছর আফগানিস্তানকে তৈরি করতে যে খরচ হয়েছে তা একরাতে শেষ হয়ে গেল। আসলাম আরও বলেন, তাঁর মাসির কোনও খবর পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁরা টিভি দেখে সেখানকার পরিস্থিতি জানছেন। মানুষ ভয় পেয়ে রয়েছেন। তালিবানের (Taliban) এই পুনরায় আগমন অত্যন্ত খারাপ বলেই মনে করছেন তিনি। 

অন্যদিকে রহিম খান জানাচ্ছেন, তিনি কখনও আফগানিস্তান যাননি। তাঁর বাবা অনেক বছর আগেই ব্যবসার জন্য ভারতে চলে আসেন। কিন্তু তাঁর অনেক বন্ধুবান্ধব ওই দেশে রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারে কথা হয়। যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, রহিম সুদে টাকা ধার দেওয়ার ব্যবসা করেন। আর আসলামের রয়েছে শাড়ির ব্যবসা। 

জানা যাচ্ছে, বর্তমানে হাওড়ার কাবুলি কুঠিতে ১২ জন আফগান রয়েছেন। তাঁদের বেশিরভাগেরই জন্ম ভারতে। তবে আফগানিস্তানে থাকা নিজেদের পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রায় সকলেই। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় আপাতত সংবাদমাধ্যম থেকেই আফগানিস্তানের পরিস্থিতি জানছেন তাঁরা। 

Advertisement

 

Advertisement