বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। আর তার জেরে কমিশন পদক্ষেপ করল। শাস্তির মুখে পড়লেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন এই নিয়ে সাফ নির্দেশিকা দিয়েছে। জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন কোনওরকম প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না ওই বিধায়ক। কমিশন জানিয়েছে, আজ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ওই বিধায়কের উপর।
প্রসঙ্গত, গতকাল নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, কট্টর বিজেপি কর্মীদের চমকাতে হবে। ভোটের পর বিজেপি কর্মীদের পরিণতি কী হতে পারে তা নিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। তাদের তরফে অভিযোগ জানানো হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেয় কমিশন।
पश्चिम बंगाल में पांडवेश्वर से ममता बनर्जी की @AITCofficial सरकार के विधायक नरेन चक्रवर्ती ने आसनसोल के मतदाताओं को प्रेस वार्ता में खुलेआम धमकाते हुए कहा कि @BJP4India को वोट दिया तो बंगाल में रहना मुश्किल कर देंगे।
— Anil Baluni (@anil_baluni) March 29, 2022
बंगाल में लोकतंत्र का चीरहरण निरंतर जारी है। @BJP4Bengal pic.twitter.com/pe0FpTRGeM
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর যে বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে তা আসলে তাঁরই। সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন মনে করছে, নরেন্দ্রনাথের বক্তব্য নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করেছে।
প্রচারে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নরেন্দ্রনাথের বক্তব্য
এদিকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান, তিনি নির্দেশিকা এখনও হাতে পাননি। দেশের সাধারণ নাগরিক হিসেবে তিনি কমিশনের নির্দেশ পালন করবেন। আসানসোলে শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে বদ্ধপরিকর।
নরেন্দ্রনাথ ঠিক কী বলেছিলেন?
'যাঁরা কট্টর BJP, যাঁদের হেলানো যাবে না, তাঁদের চমকাতে হবে। তাঁদের বলবেন, আপনি যদি ভোট দিতে যান, ধরে নেব BJP-কে ভোট দেবেন। ভোটের পর আপনি কোথায় থাকবেন সেটা আপনার নিজের রিস্ক। আর যদি ভোট দিতে না যান, তাহলে ধরে নেব আমাদের সমর্থন করছেন। আপনি ব্যবসা করুন, বাণিজ্য করুন, চাকরি করুন আমরা আপনার সঙ্গে আছি। ক্লিয়ার।'