সরকারি নিষেধাজ্ঞা না-মেনে গিয়েছিল সমুদ্রে। আর এর জেরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল একটি ট্রলার। সেটি ডুবে গেল। তবে সেখানে থাকা মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করা গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালির ঘটনা।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছিল। তবে তারপরও কয়েকজন ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে গিয়েছিলেন। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সমুদ্রে যাওয়ায় ডুবে গেল একটি ট্রলার।
শনিবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালি থেকে আরও গভীরে বঙ্গোপসাগরে। ডুবন্ত ট্রলার থেকে ১২ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীরা উদ্ধার করেছে।
'এফ বি তারা মা' নামে ওই ট্রলারটি নামখানা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে পাড়ি দিয়েছিল। সমুদ্র উত্তাল থাকায় সরকারি ভাবে গভীর সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মৎস্য দফতর। কিন্তু এই ট্রলারটি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সমুদ্রে পাড়ি দেয়।
বকখালি থেকে আরও ঘন্টা দুই যাওয়ার পর ট্রলারের পাটাতন ফেটে যায়। এবং জল ঢুকতে থাকে। ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীরা বাঁচার জন্য চিৎকার করতে থাকেন। পরে অন্য ট্রলারের মৎস্যজাবীরা উদ্ধার করেন। তবে ট্রলারে কতজন মৎস্যজীবী ছিল তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ট্রলারটি ডুবে গিয়েছে।
রাজ্যে ১১ জুন বর্ষা প্রবেশ করেছে। আর তারপর থেকে ভালই বৃষ্টি হচ্ছে। কলকাতা হোক বা রাজ্যের অন্য অংশ- গত কয়েকদিনে ভাল বৃষ্টি হয়েছে। আর ফলে সমস্যাও তৈরি হয়েছে। অনেক জায়গায় জল জমে গিয়েছে।
কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে আজ, শনিবারও বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গেও। আলিপুর আবহাওয়া দফতর এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে রাজ্যে।
আবাহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সংলগ্ন অঞ্চলে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। আর তার পাশাপাশি বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢুকছে। আর এই কারণেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, শনিবার (১৯ জুন) উত্তরবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গেও তাই। ১৯ তারিখ অর্থাৎ শনিবার উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে।
এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে তা বাড়বে। ১১ তারিখ বর্ষা দক্ষিণবঙ্গে ঢুকেছে। ইতিমধ্যে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা করে দেওয়া হয়েছে।