ফের বিতর্কে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এবার তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধই করে দেবেন।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বভারতী বন্ধ করার ব্যবস্থা করে যাব। আমি এখানে চোর ধরছি। তাই আমার বিরুদ্ধে বলা হচ্ছে। আমি এই চোরদের তাড়াবো। আর আপনারা আমার কিছু বললে বলেন না। তার পরিবর্তে কুকুরের মত চিৎকার করছেন। আমি কুকুরকে কামড়াতে যাব না। কারণ আমি পরিবার থেকে এই শিক্ষা পাইনি।
মঙ্গলবার বিকালে বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এই কথা বলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এমনই অভিযোগ উঠেছে।
জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে তিনি বলেছেন, কতগুলো ব্য়াড এলিমেন্ট। তাদের তাড়াতে হবে, আমি তাড়াব। আমি ভদ্রলোকের ছেলে। আমার মা-বাবার একটা পরিচয় আছে, একটা সংস্কার আছে। আপনাদের তা নেই। সে জন্য আপনারা সেদিন কুকুরের মতো লাফাচ্ছিলেন।
আরও বলে, এই ধরনের একজন মানুষকে সুবিধাবাদী বলছেন। তোমরা নিন্দা করছ। আমি তাড়াব। আপনি বলুন কোথায় সমস্য়া। আমাকে গালিগালাজ করল। এটা কোনও কৃতিত্বের কাজ নয়। কুকুর কামড়ালে আমি কামাড়াতে যাব না। সেই সংস্কার আমি মা-বাবার থেকে পাইনি। যা বলব সামনাসামনি বলব।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, তিনি আরও বলেছেন, বিশ্বভারতী চোর ডাকাতের আড্ডা হয়ে গিয়েছে। নইলে অনুব্রত মণ্ডল বলতে পারে উপাচার্য পাগল। আর আপনারা সেটা মেনে নেন। আমি আসার পর থেকেই সেই সব চোর ডাকাতদের ধরছি। তাই অনেকের এত অসুবিধা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেফাঁস মন্তব্য করে ফেলেছিলেন। আর এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তিনি মন্তব্য করেন, গুরুদেবের সময়ও বিশ্বভারতীতে শয়তানের আবেশ ছিল।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে রতনপল্লীতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, "গুরুদেবের সময়েও যে সোনার বিশ্বভারতী ছিল তা নয়। তখনও ছল চাতুরী, শয়তানের আবেশ ছিল।"
বরাবরই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বেফাঁস মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না৷ এদিন বিশ্বভারতীর রতনপল্লীর রামকিঙ্কর মঞ্চে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান ছিল৷