রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন বাঁকুড়া (Bankura) পুরসভার অন্তর্গত বিস্তীর্ণ এলাকা। কার্যত জলের তলায় ১৭, ১৮, ১৯, ২৩, ১৬ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড সহ পাটপুর, লোকপুর, আশ্রমপাড়া, কেঠারডাঙ্গা, কানকাটা মতো বিভিন্ন এলাকা। বর্ষার জল ঢুকে গিয়েছে বহু বাড়িতে। যার জেরে জলের নিচে ঘরের আসবাবপত্র। এখনও পর্যন্ত জেলায় ২০৮.৬ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। হঠাৎ করে এতটা বৃষ্টিপাতের ফলেই দেখা দিয়েছে সমস্যা। এই পরিস্থিতিতে খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। দমকলের চারটি দল লাগাতার জল বের করার চেষ্টা চালায়।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে পৌরসভার নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মানুষজন। কোথাও এক কোমর তো কোথাও আবার এক হাঁটু জল জমে রয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় জল জমে থাকার কারণে কাঁচা ঘরবাড়ি পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মানুষজন। আবহওয়ার পরিবর্তন না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হতে পারে বলে মনে করছেন এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর থেকে দমকল বাহিনীর আধিকারিক সকলেই।
অন্যদিকে বৃষ্টিতে জলমগ্ন পশ্চিম বর্ধমান জেলার রানিগঞ্জের (Raniganj West Burdwan) নবীনগরের ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশ। রাস্তার অবস্থাও বেহাল। এক ঘন্টার বৃষ্টিতে নর্দমার জল উপচে স্থানীয়দের ঘরে ঢুকে গিয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুর কর্তৃপক্ষের তরফে এলাকার নালানর্দমাগুলি পরিস্কার করা হয় না। যার জেরে বৃষ্টির জল উপচে বাড়িগুলিতে প্রবেশ করছে। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। স্থানীয়দের আরও আশঙ্কা, কিছুক্ষণের বৃষ্টিতেই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে ভরা বর্ষায় কী পরিস্থিতি হবে! এই বিষয়ে এলাকার বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে বিধায়কের তরফে কোনোওরকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।