আগামী কয়েকদিন রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। তবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেইসঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা। এমনই পূর্বাভাস আবহাওয়াবিদদের।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে ঝাড়খণ্ড এবং আশপাশের এলাকা জুড়ে। আর নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে পঞ্চাবে থেকে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলকায়। রাজ্যে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি হবে। তবে হালকা থেকে মাঝারি। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা এখন জানাচ্ছেন না তাঁরা।
আবাহওয়াবিদদের পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে মাঝারি বৃষ্টি হবে। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেখানেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃষ্টি না হওয়ায় বাড়তে তাপমাত্রা। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, দিনের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে। রাতে পরিষ্কার আকাশ। দিনের বেলায় ভাল রোদ থাকবে।
তবে ২৮ তারিখের পর থেকে সেই পরিস্থতি বদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে।
আজ, শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩৪ এবং ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৩৪.০। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি।
এবং সর্বনিম্ন ২৮.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন ৯৩ এবং ৬০ শতাংশ। রবিবার বিকেল অথবা রাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজ্যে ইতিমধ্যে বর্ষা প্রবেশ করেছে। আর এর জেরে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। দিন কয়েক আগে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। ফলে যা আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা-ই হয়েছিলল। জলবন্দি হয়ে পড়েছিল কলকাতা।
আবহাওয়া দফতর পরামর্শ দিয়েছিল, বাড়িতেই থাকুন। কলকাতার বিভিন্ন এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছিল। কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, লাউডন স্ট্রিট, সাদার্ন অ্যাভিনিউ, কসবা, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ঠনঠনিয়া, কসবা, বেহালা, টালিগঞ্জের মতো জায়গায় জল জমে যায়।
জল জমে থাকা নিয়ে বেজায় নাজেহাল হয়েছিলেন কলকাতার মানুষ। এর পাশাপাশি একই ছবি বিভিন্ন জেলায়। বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির ফলে জল জমে গিয়েছে। তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।