২৯২ আসনের ফল এখনও নির্বাচন কমিশনের তরফে সামনে আসেনি। তবে নিশ্চিত, মমতাই ফের ক্ষমতায় আসছেন। সরকার গঠন করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে কার্যত হতাশ রাজ্যের গেরুয়া শিবির। তারা এখন বলছে, রাজ্যে প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে তাদের আত্মপ্রকাশ হল।
এই নিয়ে রাজ্য বিজেপির নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'আমাদের এই ফল হতাশাজনক। আমরা এটা আশা করিনি। তবে এটাও ঠিক, বিজেপিই রাজ্যে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল। আমরা কংগ্রেস, বাম বা আর যারা ছিল, তাদের ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছি। এখন মমতার লড়াই আমাদের সঙ্গে।'
আরও পড়ুন : বিধি না মেনে বিজয় উৎসব, রাজ্যকে চিঠি কমিশনের
প্রসঙ্গত, আজ সকালে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছিল তৃণমূল ও বিজেপির। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এক এক করে আসনে তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে যেতে শুরু করে। একের পর এক তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থীরা জিততে শুরু করেন। রাজ্যের অন্যতম হেভিওয়েট কেন্দ্র নন্দীগ্রামেও হেরে যান শুভেন্দু। সেখানে শেষ হাসি হাসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ সকালে ভোটের প্রাথমিক ফলাফল সামনে আসার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, রাজ্যের একাধিক জায়গায় কংগ্রেস তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা করেছে। ফলে তার প্রভাব পড়েছে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে।