scorecardresearch
 

Iran Israel War: এবার যুযুধান ইজরায়েল-ইরান; যে কোনও সময় শুরু হতে পারে যুদ্ধ, কিন্তু কেন?

ইজরায়েল তাদের সৈন্যদের ছুটিও বাতিল করেছে। এছাড়া রিজার্ভ সৈন্যদেরও ডাকা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ইরানের সম্ভাব্য হামলা থেকে রক্ষা পেতে তেল আবিবে আবার আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হচ্ছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

Advertisement
এবার যুযুধান ইজরায়েল-ইরান; যে কোনও সময় শুরু হতে পারে যুদ্ধ, কিন্তু কেন? এবার যুযুধান ইজরায়েল-ইরান; যে কোনও সময় শুরু হতে পারে যুদ্ধ, কিন্তু কেন?

মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ছয় মাস ধরে ইজরায়েল ও হামাসের (Israle Hamas War) মধ্যে যুদ্ধ চলছে। আর এখন ইজরায়েল ও ইরানের (Israel and Iran War) মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইরান যে কোনও সময় ইজরায়েলে হামলা চালাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইজরায়েলও একই ধারণা করছে, তাই তারাও এর প্রস্তুতি শুরু করেছে।

ইজরায়েল তাদের সৈন্যদের ছুটিও বাতিল করেছে। এছাড়া রিজার্ভ সৈন্যদেরও ডাকা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ইরানের সম্ভাব্য হামলা থেকে রক্ষা পেতে তেল আবিবে আবার আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হচ্ছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

কিন্তু কেন এসব হচ্ছে?

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলার মধ্য দিয়ে এর সব শুরু হয়েছিল। এই হামলার ঘটনা ঘটে ১ এপ্রিল। এই হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬ জন সিরিয়ার নাগরিক।

নিহতদের মধ্যে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (IRGC)-এর একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিও ছিলেন। তিনি IRGC-এর 'কুদস ফোর্সের' একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। আল-জাজিরার মতে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার পর ইরানের একজন শীর্ষ কমান্ডার মারা যাওয়ার পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা।

ইরান এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন যে এই হামলার এমনভাবে জবাব দেওয়া হবে যাতে তারা তাদের কর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়।

ইজরায়েল কি বলেছে?

এই হামলার বিষয়ে ইজরায়েল এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন ইজরায়েলি কমান্ডার বলেছেন যে এটি 'কুডস ফোর্সের' ভবন, যা অন্যান্য দেশে অভিযান পরিচালনা করে। ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি সিএনএনকে বলেছেন যে এটি কোনও কনস্যুলেট বা দূতাবাস নয়। সেটি ছিল কুদস ফোর্সের ভবন। পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং মঙ্গলবার বলেছেন যে আমেরিকা বিশ্বাস করে যে এই হামলা ইজরাইল করেছে।

Advertisement

হামলার হুমকি দিয়েছে ইরান

কনস্যুলেটে হামলার জন্য ইজরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান। ইরানও হামলার হুমকি দিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, এটি আন্তর্জাতিক চুক্তি ও কূটনৈতিক নিয়মের লঙ্ঘন। গাজায় ব্যর্থতার কারণে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

সিরিয়ায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত হোসেইন আকবরী বলেছেন, ইরানও এই হামলার জবাব দেবে। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিও বলেছেন, ইরান চুপ থাকবে না। ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান আমোস ইয়াদলিন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ইরান এই শুক্রবার হামলা করতে পারে। হয় সে সরাসরি সামরিক হামলা চালাবে অথবা প্রক্সি যুদ্ধ শুরু করবে।

প্রক্সি যুদ্ধ কী?

প্রক্সি যুদ্ধ মানে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ ইজরায়েলে হামলা চালাতে পারে। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধেও হিজবুল্লাহ ইজরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ইয়াদলিন বলেন, ইরান যদি হামলা করে তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ভয় পাওয়ার দরকার নেই। ইজরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা খুবই শক্তিশালী। একইসঙ্গে ইরানের হামলার জন্য ইজরায়েলি সেনাবাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে। সৈন্যদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জিপিএস বন্ধ করে দিয়েছে ইজরাইল। জিপিএস ব্লকের কারণে মিসাইল এবং ড্রোন বিপথে যায়।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইরান এখনও ইজরায়েলের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ এড়াতে চাইবে। এর একটি কারণ, ইজরায়েল আমেরিকার সমর্থন পেয়েছে। যুদ্ধ হলে আমেরিকা সমর্থন করবে এবং এমন পরিস্থিতিতে ইরান পিছিয়ে যেতে পারে।

 

Advertisement