পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দিন দিন অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। অনেক এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর সংকটও দেখা দিয়েছে। এক প্যাকেট আটার জন্য মানুষ লড়াই করতে প্রস্তুত। এই অর্থনৈতিক আঘাত প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রতি পাকিস্তানের মনোভাবকে নরম করেছে। ভারত সম্পর্কে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সাম্প্রতিক বক্তব্য, তার সরকারের আগের তিক্ত বক্তব্যের থেকে একেবারেই আলাদা।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান তিনটি যুদ্ধ করেছে। এই যুদ্ধ থেকে পাকিস্তান শিক্ষা নিয়েছে। আমরা দুই প্রতিবেশী দেশ। দুজনকেই একে অপরের সাথে থাকতে হবে। এখন এটা আমাদের ব্যাপার যে আমরা একসাথে শান্তি ও প্রগতিতে বাস করব নাকি পরস্পরের সাথে ঝগড়া করে সময় ও সম্পদ নষ্ট করব। শেহবাজ শরিফ আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের কারণে পাকিস্তানের সমস্যা হবেই। দারিদ্র্য ও বেকারত্ব এসেছে। আমরা আমাদের শিক্ষা পেয়েছি এবং এখন আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই এবং আমাদের সমস্যার সমাধান করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি বার্তা দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন যে, তিনি পাকিস্তানে দারিদ্র্যের অবসান ঘটাতে চান এবং সমৃদ্ধি আনতে চান। জনগণকে সুশিক্ষা ও উন্নত স্বাস্থ্য সুবিধা ও কর্মসংস্থান দিতে চাই। শাহবাজ শরিফ আরও বলেন, পাকিস্তান গোলাবারুদে তার সম্পদ নষ্ট করতে চায় না। এই বার্তাই তারা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দিতে চায়। ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও মজবুত হলে পাকিস্তান হয়তো এমন সংকট দেখত না।
অল্প সময়ের মধ্যেই তো, কিন্তু কোথাও না কোথাও পাকিস্তান সরকার বুঝতে পেরেছে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিকঠাক রাখলে হয়তো এই অর্থনৈতিক সংকট এতটা গভীর হতো না। স্পষ্টতই ভারত একটি বড় দেশ এবং অনেক দিক থেকে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। উভয়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংযোগ হল যে দুই দেশের অনেক দিক থেকে সীমান্ত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারত পাকিস্তানের ব্যবসা থেকে মানবিক সাহায্যে অনেক এগিয়ে থাকতে পারে।
একটি শক্তিশালী প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক শেষ করে কী ক্ষতি হতে পারে, সম্ভবত পাকিস্তান সরকার তা দেখতে পায়নি বা শত্রুতার আগুনে তা দেখতে চায়নি। অর্থাৎ জনমত বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা-ই হোক না কেন, এর ক্ষতি শুধু পাকিস্তানেরই হয়েছে এবং কাজগুলো যদি শোধরানো না হয়, তাহলে ভবিষ্যতেও তা দেখা যাবে।
আরও পড়ুন-পয়সা ফেললেই Twitter ব্লুটিক, ফায়দা লুঠছে তালিবান নেতারা