ব্রিটেনের রাজা হলেন তৃতীয় কিংস চার্লস। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ব্রিটেন-সহ আরও ১৪টি কমনওয়েলথ দেশের রাজা হলেন ৭৩ বছর বয়সি চার্লস। শনিবার তাঁকে আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজা হিসাবে ঘোষণা করা হয়। আচার-অনুষ্ঠানও সারা হয়েছে লন্ডনের সেন্ট জেমস প্রাসাদে।
রাজা হওয়ার পর প্রথম জাতীর উদ্দেশে ভাষণে প্রয়াত মা রানি এলিজাবেথকে অনুপ্রেরণা বলেছেন ব্রিটেনের নতুন রাজা তৃতীয় চার্লস। শুক্রবার তিনি বলেন,'উনি ছিলেন আমার ও পরিবারের অনুপ্রেরণা। মা জীবনভর যে কাজ করেছেন তাতে নিজেকে উৎসর্গ করব।'
লন্ডনের সেন্ট জেমস প্রাসাদে একটি অনুষ্ঠানে তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক হয়। তা টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। এবার আর ভোটার কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের দরকার পড়বে না নতুন রাজার। প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রসের সঙ্গেও দেখা করেন নতুন রাজা।
১৯৫২ সালে ইংল্যান্ডের যুবরাজ হন চার্লস । তিনি ছিলেন 'প্রিন্স অব ওয়েলস'। সেই উপাধি গেল বড় ছেলে উইলিয়ামের কাছে। মায়ের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চার্লসকে রাজা ঘোষণা করা হয়। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রিভি কাউন্সিলের সদস্যরা, সরকারি আধিকারিকরা, কমনওয়েলথের হাই কমিশনাররা এবং লন্ডনের মেয়র। সকলেই অভিবাদন জানান ব্রিটেনের নতুন রাজাকে।
সদ্য মারা গিয়েছেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তাঁর অসুস্থতার খবর পেয়ে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে পৌঁছে গিয়েছিলেন চার ছেলে-মেয়ে। যুবরাজ চার্লস, রাজকুমারী অ্যান, যুবরাজ অ্যান্ড্রিউ এবং যুবরাজ এডওয়ার্ড। চার্লসের বড় ছেলে যুবরাজ উইলিয়ামও গিয়েছিলেন। তাঁর ভাই হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে যান। তবে রানিকে বাঁচানো যায়নি। দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর বাকিংহ্যাম প্যালেস থেকে একটি বিবৃতি জারি করে শোকপ্রকাশ করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তি রাজার তরফেই পাঠানো হয়েছিল। রাজ পরিবারের নিয়ম অনুযায়ী বড় ছেলে যুবরাজ চার্লসই হলেন ইংল্যান্ড-সহ ১৫টি কমনওয়েলথ দেশের রাজা। কুইন কনসর্ট তাঁর স্ত্রী ক্যামিলা।
আরও পড়ুন- লোকসভা ভোটের আগে সংগঠনে রদবদল বিজেপির, বাংলায় নতুন 'সেনাপতি'