scorecardresearch
 

Sarabjit Singh Killer Shot Dead: 'সরবজিতের খুনি সরফরাজ বেঁচে আছে', পাকিস্তানের পুলিশ অফিসারের দাবিতে জলঘোলা

পাকিস্তানের কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং হত্যার দায়ে অভিযুক্ত আমির সরফরাজ তাম্বাকে অজ্ঞাত হামলাকারীরা গুলি করে হত্যা করেছে। এখন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের এক পুলিশ কর্তা দাবি করেছেন যে সরফরাজ তাম্বা বেঁচে আছে।

Advertisement
'সরবজিতের খুনি সরফরাজ বেঁচে আছে', পাকিস্তানের পুলিশ অফিসারের দাবিতে জলঘোলা 'সরবজিতের খুনি সরফরাজ বেঁচে আছে', পাকিস্তানের পুলিশ অফিসারের দাবিতে জলঘোলা
হাইলাইটস
  • সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (এসএসপি) অপারেশন লাহোর সৈয়দ আলি রাজা ডন পত্রিকাকে বলেছেন যে তাম্বা এখনও জীবিত
  • মজার ব্যাপার হল তাম্বা বেঁচে থাকলে তাকে চিকিৎসার জন্য কোথায় রেফার করা হয়েছে তা জানাননি পুলিশ কর্মকর্তা।

পাকিস্তানের কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং হত্যার দায়ে অভিযুক্ত আমির সরফরাজ তাম্বাকে অজ্ঞাত হামলাকারীরা গুলি করে হত্যা করেছে। এখন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের এক পুলিশ কর্তা দাবি করেছেন যে সরফরাজ তাম্বা বেঁচে আছে। লস্কর-ই-তইবা (এলইটি) এর প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তাম্বাকে সানন্ত নগরে তার বাড়িতেই গুলি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাম্বাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। তবে সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (এসএসপি) অপারেশন লাহোর সৈয়দ আলি রাজা ডন পত্রিকাকে বলেছেন যে তাম্বা এখনও জীবিত। কিন্তু গুরুতর আহত। মজার ব্যাপার হল তাম্বা বেঁচে থাকলে তাকে চিকিৎসার জন্য কোথায় রেফার করা হয়েছে তা জানাননি পুলিশ কর্মকর্তা।

পুলিশ অফিসারের দাবির পর, পিটিআই সোমবার লাহোর পুলিশের মুখপাত্র ফারহান শাহের সঙ্গে এসএসপির বক্তব্য সম্পর্কে কথা বললে, তিনি বিষয়টিকে সংবেদনশীল বলে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।

হত্যার ধরণ একই

সোমবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি সরফাজ তাম্বার হত্যার পিছনে ভারতের হাত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। সোমবার তিনি দাবি করেন, সাম্প্রতিক অতীতে কিছু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারত সরাসরি জড়িত ছিল। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে এবং এই পর্যায়ে এই ইস্যুতে ভারতের জড়িত থাকার বিষয়ে কিছু বলা খুব তাড়াতাড়ি। তবে, অতীতে একই ধরনের হত্যাকাণ্ডের কারণে তারা ভারতের জড়িত থাকার সন্দেহ করছে। ২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার বিকেলে পুরনো লাহোরের একটি ধনী জনবহুল এলাকা সনন্ত নগরে দুই অজ্ঞাত হামলাকারী তাম্বাকে তার বাড়িতে গুলি করে হত্যা করে। তাম্বার রক্তে ভেজা শরীরের ছবিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সরফরাজ তাম্বার ছোট ভাই জুনায়েদ সরফরাজের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই অজ্ঞাত আততায়ীর বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। এফআইআর অনুসারে, জুনায়েদ সরফরাজ বলেছেন যে তিনি এবং তাঁর বড় ভাই আমির সরফরাজ তাম্বা ঘটনার সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

লাহোর আদালত ত্যাকারীদের বেকসুর খালাস দেয়

২০১৩ সালে সরফরাজ তাম্বা এবং তার সহযোগী মুদাসার লাহোরের কোট লাখপত জেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিংকে আক্রমণ করেছিল। যার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। ২০১৮ সালে লাহোর সেশন কোর্ট প্রমাণের অভাবে সরবজিতের খুনিদের খালাস দিয়েছিল। ১৯৯০ সালে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগে সরবজিৎ সিংকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে ভারতে সরবজিতের পরিবার বলছে, তিনি অজান্তেই সীমান্ত পাড়ি দিয়েছিলেন। তাঁর বোন দলবীর কৌর পাকিস্তান থেকে তাঁর মুক্তির জন্য দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন, কিন্তু তিনি সফল হননি।

Advertisement