পাকিস্তানে (Pakistan) ফের জঙ্গিদের নিশানায় চিনা (China) নাগরিকরা। শুক্রবার গাওদরে চিনা নাগরিকদের খুব কাছে বিস্ফোরণ হয়। জানা গিয়েছে, একটি সুইসাইড বিস্ফোরণ (Suicide Attack) হয়। বিস্ফোরণে কোনও চিনা নাগরিকের মৃত্যু না হলেও, দুই শিশু প্রাণ হারিয়েছে। এক চিনা নাগরিক অল্পবিস্তর আঘাত পেয়েছেন ও দুজন সাধারণ মানুষ জখম হয়েছেন। এর আগেও পাকিস্তানে একাধিকবার জঙ্গি হামলার মুখে পড়েছেন চিনা নাগরিকরা। ঘটনার পরে বালোচিস্তানের সরকারের মুখপাত্র লিয়াকত সাহওয়ানি জানান, "বিস্ফোরণের সময়ে দুই শিশু খুব কাছেই খেলছিল। তারা সেখানে প্রাণ হারায়। একজন চিনা নাগরিক সামান্য জখম হন। সেই সঙ্গে ২ জন পাক নাগরিকও জখম হয়েছেন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে সন্ত্রাস বিরোধী বাহিনী।"
মাঝেমধ্যেই হামলা
তালিবান কিংবা বালোচ জঙ্গিরা মাঝেমধ্যে পাকিস্তানে এমন কায়দায় হামলা করে থাকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। প্রসঙ্গত, গাওদর চিনা-পাক অর্থনৈতিক করিডরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। প্রচুর চিনা নাগরিক ও ইঞ্জিনিয়ার এখানে কর্মরত রয়েছেন, প্রকল্পটি সফল করার জন্য। চিন এই এলাকাটিতে প্রচুর বিনিয়োগও করেছে। বিগত কয়েক মাস ধরেই বালোচিস্তান এবং করাচিতে ক্রমাগত জঙ্গি হামলা চলছে চিনা নাগরিকদের উপর। চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরে কাজ করছেন, এমন চিনা নাগরিকরাই জঙ্গি হামলার মুখে পড়ছেন।
মৃত একাধিক চিনা নাগরিক
গত মাসে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ১৩ জনের। মৃতদের মধ্যে ৯ জন চিনা নাগরিক। এরা প্রত্যেকেই চিনের ইঞ্জিনিয়ার এবং প্রকল্পের কর্মী ছিলেন। যদিও পাকিস্তান প্রথমে দাবি করেছিল যে, মৃতরা সকলেই একটি বাসে ছিলেন। সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু পরে আগের অবস্থান থেকে সরে আসে পাক সরকার। জানিয়ে দেয়, ওই বাসে জঙ্গি হামলা হয়েছিল। গত মাসে করাচিতে চিন নাগরিকদের উপর হামলা হয়। একটি গাড়ি থেকে এলোপাথাড়ি গুলি ছোঁড়া হয় চিনা নাগরিকদের লক্ষ্য করে।
চিন-পাক সম্পর্ক
চিনের উপর পাকিস্তানের অর্থনৈতিক নির্ভরতা অনেকটাই। সেই সঙ্গে দুই দেশই চায় অর্থনৈতিক করিডরের প্রকল্পটি দ্রুত শেষ হোক। কিন্তু সেই করিডরে কর্মরত চিনা নাগরিকদের উপরেই একের পর এক হামলা ঘটে চলেছে। বর্তমানে দুই দেশই কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা ৭০ তম বার্ষিক উৎযাপন করছে। প্রায় ১০০টি অনুষ্ঠান দুই দেশেই হওয়ার কথা। ইতিমধ্যে ৬০টি অনুষ্ঠান হয়ে গিয়েছে।