কোথাও রক্তের দাগ লেগে। কোথাও আবার ভাঙাচোরা ভবন। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার হাসপাতালে গিয়ে এমন দৃশ্য থেকে শিউরে উঠলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু'র প্রতিনিধিরা। ইজরায়েল এবং হামাসের যুদ্ধের ৬ মাস পর গাজার হাসপাতাল পরিদর্শন করে হু'র দল। সেই হাসপাতালের ধ্বংসলীলা দেখে আঁতকে উঠলেন তাঁরা।
শুক্রবার খান ইউনিস শহরের ২টি হাসপাতালে যান হু'র প্রতিনিধিরা। তাঁরা দেখেন, হাসপাতালের বিভিন্ন অংশ ভেঙে গিয়েছে। কোথাও লেগে রয়েছে রক্তের দাগ। হাসপাতালে চিকিৎসার বিভিন্ন সরঞ্জাম সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। চারদিকে যেন শশ্মানের নিস্তব্ধতা। ভয়ঙ্কর দৃশ্য।
কিছু দিন আগে দক্ষিণ গাজায় সামরিক অভিযান চালিয়েছিল ইজরায়েলি সেনা। সম্প্রতি খান ইউনিস শহর ছেড়েছে ইজরায়েলি সেনা। তারপরেই ওই শহরের দুই হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন হু'র প্রতিনিধিরা। দলের সদস্যরা নাসের ও আল-আমাল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। গত বছরের অক্টোবর মাসে যুদ্ধের আঁচ এসে পড়ে হাসপাতালের উপর। সেই থেকেই কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে হাসপাতালগুলি। যুদ্ধের চিহ্ন সরিয়ে হাসপাতালগুলি যাতে ফের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করতে পারে, সেই চেষ্টাই চালাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
অন্য দিকে, যেকোনও সময় ইজরায়েল এবং ইরানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হতে পারে। সিরিয়ায় তাদের দূতাবাসে হামলার প্রতিশোধ নিতে যে কোনও সময় ইজরায়েলের উপর হামলা চালাতে পারে ইরান। আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে যে, ইজরায়েলের সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করতে ১০০টিরও বেশি ড্রোন, কয়েক ডজন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হতে পারে। ইজরায়েলে নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে সেনাকর্মীদের ছুটি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইজরায়েলে ইরান হামলা চালালে ভুল করবে। সেইসঙ্গে এ-ও জানিয়েছেন যে, ইরান সফল হতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে হামলা হয়। ইজরায়েলি হামলায় ইরানের এলিট কুদস ফোর্সের শীর্ষ কমান্ডার এবং তাঁর ডেপুটি-সহ ১৩ জন নিহত হন। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।