ফেসবুকে হা হা ইমোজি দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল বাংলাদেশের মৌলবী। হাসি ঠাট্টা মজা নিয়ে ফেসবুক-এ একাধিক ইমোজি রয়েছে। কেউ হালকা হাসছে, কেউ অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছে। কেউ কেউ আবার হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছে। ছোট্ট গোলগাল হলুদ রঙের ইমোজি ছাড়া ফেসবুক এর মজা প্রায় অচল।
এবার সেই ইমোজি ব্যবহারের উপরই কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করে বসলো বাংলাদেশের এক মৌলবী আহমেদুল্লাহ। তার নিজস্ব অনলাইন ইউটিউব চ্যানেলে বিশাল সংখ্যক ফলোয়ার রয়েছে।
আহমেদউল্লাহ ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ৩০ লাখেরও বেশি। তিনি নিয়মিত বিভিন্ন ধর্ম কথা প্রচার করে থাকেন, তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন টেলিভিশনে তাঁকে দেখা যায়। বাংলাদেশের ধর্মীয় প্রচারে প্রচারক হিসেবে তিনি পরিচিত মুখ।
দিন কয়েক আগে এই আহমেদুল্লাহ ৩ মিনিটের একটি ভিডিও ইউটিউবে পোস্ট করেছেন। যাতে বলা হয়েছে, ফেসবুকে হাসিঠাট্টার এই ইমোজি গুলি ব্যবহার করা উচিত নয়। মৌলবী বলেন, ফেসবুকে এই হাহা ইমোজি ব্যবহার করা ইসলাম বিরুদ্ধ। তাঁর এই বক্তব্য সমৃদ্ধ ভিডিও কুড়ি লক্ষের বেশি বার দেখা হয়েছে।
ওই মৌলবী ভিডিওতে বলেছেন, আজকাল আমরা একজন আরেকজনের ওপর হাসি-ঠাট্টা করি। সেই প্রসঙ্গে এই ধরণের ইমোজিগুলি ব্যবহার করা হয়। যদি আমরা প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই ধরনের হাহা ইমোজি ব্যবহার করি, তাতে যদি যিনি পোস্ট করেছেন, তাঁর উদ্দেশ্যও মজা হয়, তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু যদি আপনার উদ্দেশ্য হয় ফেসবুকে কোনও বিষয়ে পোষ্টের উপর মজা করে বিষয়টিকে উপহাস করা তাহলে তা ইসলামের জন্য পুরোপুরি হারাম। তাই বর্জন করা উচিত।
আহমাদুল্লাহ বলেন হাসি-ঠাট্টা কিংবা উপহাস করার জন্য কাউকে হাহা রিঅ্যাক্ট দেবেন না। আপনি যদি এই প্রতিক্রিয়া দেন, তাতে আপনি যদি কোনও মুসলমানকে আহত করেন, তিনি তার বিরুদ্ধে অনেক খারাপ কথা বলতে পারেন। যা ইসলামের পক্ষে অপ্রত্যাশিত হবে।
মৌলবীর এই ভিডিওতে হাজার হাজার ফলোয়ার তাঁদের নিজেদের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। বেশিরভাগই তাঁর বক্তব্যকে সদর্থকভাবে গ্রহণ করে ঠিকঠাক উত্তর দিয়েছেন। কিন্তু তার মধ্যে রয়েছে কাহানিতে টুইস্ট। অনেকেই তাঁর এই ভিডিওতে হাহা রিঅ্যাক্ট দিয়ে তাঁকে বিব্রত করেছেন।
আহমেদুল্লাহ বাংলাদেশের ইন্টারনেটপ্রেমী ইসলামিক উপদেষ্টার নতুন জমানার প্রচারক। যিনি ইন্টারনেট এবং অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ অনুরাগীদের আকর্ষণ করেন। ধার্মিক এবং সামাজিক বিষয়ে তার আলোচনা এবং টিপ্পনী বাংলাদেশের ব্যাপক জনপ্রিয়। তাঁর প্রত্যেক ভিডিওতেই লক্ষ লক্ষ ভিউ হয়।
বাংলাদেশ কিছু লোক করোনা ভাইরাস এর উৎপত্তি সম্পর্কে অদ্ভুত দাবি করেছেন। যাতে নিন্দার শিকার হতে হয়েছে। কিছু লোকের বক্তব্য ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত। আবার কেউ কেউ নিজেদের আনন্দেই হাসি-মজা ঠাট্টার ভিডিও পোস্ট করে জনপ্রিয় হয়েছেন।