বাংলাদেশের কাছে ঐতিহাসিক দিন তো বটেই বাঙালির গর্ব বললেও অত্যুক্তি হয় না। দিনটি ৪ এপ্রিল। পদ্মা সেতুতে চলল ট্রেন। পরীক্ষামূলক ভাবে এই ট্রেন চালাল বাংলাদেশ সরকার।
সাত বগির একটি বিশেষ ট্রেন ও একটি রেল ট্রাক কার ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া স্টেশনে যায়।
পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ভাবে ট্রেন চলার ঘটনায় উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশবাসী। মোট ৪২ কিলোমিটারের যাত্রাপথের এই ট্রেনটি থামে মুন্সিগঞ্জের প্রান্ত স্টেশন মাওয়ায়।
পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ভাবে চালানো এই ট্রেনে সফর করেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
পদ্মা রেল ব্রিজ প্রকল্পের ডিরেক্টর মহম্মদ আফজল হোসেনের কথায়, '১৭২ কিমির পদ্মা সেতু রেল লিঙ্ক প্রকল্পকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকা থেকে মাওয়া সেকশনে ৭৪ শতাংশ, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা সেকশনে ৯২ শতাংশ ও ভাঙ্গা থেকে যশোরের কাজ ৬৮ শতাংশ শেষ হয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ।'
জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল উদ্বোধন হয়ে যাবে। তার জন্য ১৪টি নতুন স্টেশন ও ৬৬টি মেজর ব্রিজ তৈরি করা হচ্ছে।
ট্রেনের একাধিক কোচ চিন থেকে ইতিমধ্যেই কিনে ফেলেছে বাংলাদেশ। গোটা প্রকল্পের মোট খরচ ৩৯,২৪৬.৭৯ কোটি বাংলাদেশ টাকা।
ট্রেনে চলাচলের জন্য ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার রেলপথ প্রস্তুত করা হয়েছে। থাকছে ৪টি স্টেশন ও একটি জংশন।
স্টেশনগুলি হল, ভাঙ্গা, ভাঙ্গা জংশন, শিবচর, পদ্মা ও মাওয়া। দুপুর ১২টার দিকে ৭ বগির বিশেষ ট্রেন ও রেল ট্রাক কার পদ্মা সেতুর দিকে রওনা হয়। দু ঘণ্টায় ৪২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে দুপুর দুটোয় সেতু পেরিয়ে মাওয়া পৌঁছয় ট্রেন। শিবচর ও পদ্মা স্টেশনে দাঁড়ায়। পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের জন্য ওই পাঁচটি স্টেশন সাজানো হয়।