Advertisement

বাংলাদেশ

The Golden Bengal Tea: ১৬ কোটি টাকায় ১ কেজি ! বাংলাদেশের এই চা-ই বিশ্বের সবচেয়ে দামি?

শাহিদুল হাসান খোকন
  • ঢাকা,
  • 09 Mar 2022,
  • Updated 6:27 PM IST
  • 1/9

অনেকটা আঁতকে ওঠার মতো খবর! এক কেজি চায়ের দাম ১৬ কোটি টাকা। আর সেই চা তৈরি হচ্ছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে। এর উৎপাদন হয় বাংলাদশের সিলেটে। 

  • 2/9

বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই চা উৎপাদনের কথা অনেকেরই অজানা। ‘দ্য গোল্ডেন বেঙ্গল’ নামের এই চা চলতি বছরের মে মাসে বাজারে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এই চায়ের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ’ প্রতি কেজি চায়ের দাম নির্ধারণ করেছে ১৪ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি টাকার হিসেবে যা প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি টাকা।
 

  • 3/9

বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রিমিয়াম চায়ের প্রতিষ্ঠান  লন্ডনের ১০৩ ব্রিক লেনে অবস্থিত  লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ। এখানকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অলিউর রহমান  এই চায়ের নামকরণের ক্ষেত্রে বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতকে। সেখান থেকেই গোল্ডেন বেঙ্গল বা সোনার বাংলা নামটি বাছাই করা হয়েছে।
 

  • 4/9

সম্প্রতি সেই 'গোল্ডেন বেঙ্গল টি’র স্বাদ নেওর সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের বিদেমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আরব আমিরশাহী  সফরে কালে হাসিনা সরকারের বিদেশমন্ত্রী এই চায়ের আগাম উদ্বোধন করেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক। যেটি লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। 

  • 5/9

 লন্ডন টি এক্সচেঞ্জের ফেসবুক পেজেও একটি ভিডিও পোস্ট করে লেখা হয়, “আমরা বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে চা পরিবেশন করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে দামি চা ‘গোল্ডেন বেঙ্গল টি’র স্বাদ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। চমৎকার এই চা ২০২২ সালের মে মাসে বিক্রি করা শুরু হবে এটি জানাতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।”

  • 6/9

স্বচ্ছ চায়ের কাপে ঢালার পর এই চায়ের সোনালি রং দেখা যায়, সেখানে ভাসছে খাবার যোগ্য স্বর্ণের প্রলেপ। বাংলাদেশের চা বাগানে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে তৈরি করা এবং সোনার প্রলেপ দেওয়া সোনালি রঙের এই চা হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দামী চা, এমনটাই দাবি করছেন এর উৎপাদকরা। চা পান করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায় “আপনিতো মার্কেটিং গুরু…এই চায়ের চমৎকার সুবাস রয়েছে”।
 

  • 7/9

জানা গেছে, প্রকারে ব্ল্যাক টি হলেও স্বচ্ছ পেয়ালায় পরিবেশন করলে এই চা সোনালি বর্ণ ধারণ করবে। বিশেষ প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত এই চা প্রস্তুত করতে সময় লেগেছে প্রায় সাড়ে চার বছর। আর, ৯০০ কেজি উৎপাদিত চা থেকে মাত্র এক কেজি চা পাতা বাছাই করা হয়েছিল যার প্রতি পাতায় রয়েছে ২৪ ক্যারেট সোনার প্রলেপ।এর আগে অলিউর রহমান আশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, “নোবেল বিজয়ীদের এই চা পাতা উপহার দিতে পারবো বলে আশা করছি”

  • 8/9

 বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে গত কয়েক বছর অত্যন্ত গোপনে এই চায়ের চাষ করা হচ্ছে। বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করে এই চা তৈরি করা হয়। এর জন্য অনেক বেশি যত্নের পাশাপাশি বিদেশি দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মীরা চা তৈরি করেন। পুরো প্রক্রিয়ায় মেশিনের কোন সহায়তা নেওয়া হয় না। চা গাছের শুধুমাত্র দুটি সোনালি পাতা দিয়েই এই চা তৈরি করা হয়।  অলিউর রহমান  আরও জানিয়েছেম, প্রায় পাঁচ বছর পর, নয়শো কেজি চা থেকে এক কেজি সোনালি চা উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। সেই চায়ের পাতায় মেশানো হয়েছে ২৪ ক্যারেট সোনার প্রলেপ।

  • 9/9

 লন্ডন টি এক্সচেঞ্জের নির্বাহী কর্মকর্তার  দাবি, দীর্ঘ সময় ধরে উৎপাদন, বিশেষ যত্ন ও প্রক্রিয়া, বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কর্মীদের ব্যবহারের কারণে এই চায়ের মূল্য বেড়েছে। বাংলাদেশের কোন চা বাগানে এই চায়ের চাষাবাদ হচ্ছে, ব্যবসায়িক কারণে তা তিনি জানাতে রাজি হননি। তবে বাংলাদেশের চা শিল্প গবেষকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে এমন দামী চায়ের চাষাবাদের কথা বলা হলেও তাদের কাছে এরকম চা সম্পর্কে কোন তথ্য নেই।

Advertisement
Advertisement