গত ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশকে উপহার দেওয়া ২০ লক্ষ কোভিশিল্ড টিকার ডোজ ভারত থেকে বাংলাদেশে পৌঁছেছিল। এবার আরও ৫০ লক্ষ টিকা পেল প্রতিবেশী দেশটি। করোনা ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ বাংলাদেশে পাঠান নিয়ে আগেই হাসিনা সরকারের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল চিনের। সোমবার সেই টিকাও পৌঁছল বাংলাদেশে। সরকারি ভাবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে এদিন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় ভ্যাকসিন ভর্তি বিমান। প্রথম দফায় ৫০ লক্ষ করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ পেল ঢাকা। জানা যাচ্ছে আগামী বুধবার থেকে রাজধানী ঢাকার ৫ হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে এদিন চার্টার ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা ভ্যাকসিনগুলি বেক্সিমকোর টঙ্গীর গুদামে রাখা হচ্ছে। সারা দেশে পাঠানোর আগে এই টিকা সরকারি ওষুধ পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে ছাড়পত্র নেওয়া হবে। এরপর সরকারের চাহিদা অনুযায়ী, ভ্যাকসিন দেশের ৬৪ জেলার সিভিল সার্জনদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি ঢাকায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনের মধ্যে পরীক্ষামূলক টিকা প্রয়োগ হবে। তারপর ৮ ফেব্রুয়ারি টিকাদান শুরু হবে সারাদেশে।
ভারতের পাঠানো ভ্য়াকসিনে ৮ ফেব্রুযারি থেকে শুরু টিকাকরণ, মোদীকে ধন্য়বাদ হাসিনার
তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কিনতে গত ৫ নভেম্বর সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে টিকার ৫০ লাখ ডোজ পাঠাবে সিরাম ইনস্টিটিউট। ভারত সরকারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে কোভিশিল্ড টিকা ২০ লক্ষ ডোজ পাওয়ার পর হাসিনা সরকার ২৭ জানুয়ারি থেকে টিকা প্রয়োগ শুরুর সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছে। ভারত থেকে উপহার হিসেবে আসা টিকা সরকার সংরক্ষণ করলেও কেনা টিকা বেক্সিমকো নিজেরা সংরক্ষণ করে টিকাকেন্দ্রে পৌঁছে দেবে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে জানা যাচ্ছে কোভিশিল্ডের পাশাপাশি দেশের ২০ শতাংশ মানুষের জন্য কোভ্যাক্সিন কেনার পথে এগোচ্ছে হাসিনা সরকার।