Advertisement

Pori Moni: এক পোশাকেই ১২০ ঘণ্টা! কাঠগড়ায় অঝোরে কাঁদলেন পরীমনি

আদালতের কাঠগড়ায় আনা হলে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় পরীমনিকে। এছাড়াও আদালত থেকে বের হওয়ার সময় তিন বার চিৎকার করেছেন নায়িকা। চিৎকার করে তিনি বলেন, ‘আমি নির্দোষ, আমাকে ইচ্ছা করে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’

আজ আদালতে তোলা হয় পরীমনিকে
Aajtak Bangla
  • ঢাকা,
  • 10 Aug 2021,
  • अपडेटेड 8:31 PM IST
  • আজ আদালতে তোলা হয় পরীমনিকে
  • আদালত ফের নায়িকাকে রিমান্ডের নির্দেশ দেয়
  • আদালতে দাদুর সঙ্গেও কথা বলার সুযোগ হল না নায়িকার

মাদক মামলায় নায়িকা পরীমনি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে ফের দুদিনের জন্য  রিমান্ডে পাঠাল আদালত। মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন। এদিন  চারদিনের রিমান্ড শেষে পরীমনিকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। একই মামলায় আবারও পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করে সিআইডি। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন।  উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ফের রিমান্ডের আদেশ দেয়।

আদালতে কাঁদতে দেখা যায় পরীমনিকে
আদালতের কাঠগড়ায় আনা হলে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় পরীমনিকে। এছাড়াও আদালত থেকে বের হওয়ার সময় তিন বার চিৎকার করেছেন নায়িকা। চিৎকার করে তিনি বলেন, ‘আমি নির্দোষ, আমাকে ইচ্ছা করে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’সংবাদমাধ্যমকে পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান জানান, 'তার মক্কেলের দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ার নষ্ট করা হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। গ্রেফতারের পর থেকে ১২০ ঘণ্টা তিনি এক কাপড়ে রিমান্ডে রয়েছেন।'

আরও পড়ুন: পরীমনিকে সাড়ে ৩ কোটির গাড়ি উপহার!

দাদুর সঙ্গেও কথা বলার সুযোগ হল না
পরীমনিকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নিতে আজ মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়েছিল। বিষয়টি জানতে পেরে পরীমনিকে একনজর দেখতে আদালত প্রাঙ্গণে এসেছিলেন দাদু  শামসুল হক। কিন্তু নাতনিকে দূর থেকে দেখার সুযোগ হলেও কথা বলা সম্ভব  হয়নি। এদিন দুপুরে রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত থেকে যখন পরীমনিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন দাদুকে দেখে চিৎকার করে কথা বলার চেষ্টা করেন নায়িকা। চিৎকার করে নানা নানা বলে ডাকেন। পুলিশ সদস্যরা তাকে কথা বলার সুযোগ দেননি। 

 

 

আবেগ তাড়িত পরীমনির দাদু
পরিমনীকে দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন নানা শামসুল হক। কথা মুখে আটকে যায় তার।  শামসুল হক গাজী  বলেন, আমি ছাড়া ওর কেউ নাই। আদালতে এসেছি নাতনির সঙ্গে দেখা করতে। কিনি জানান, পরীমনি খুব ছোটবেলায় তার মাকে হারায়। একটু বড় হয়ে বাবাকে হারিয়ে সে পিরোজপুরে তার র কাছে বড় হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: জালে পরীমনির গডফাদারও, ফোনে মিলল অসংখ্য পর্ন ভিডিও

সিআইডির নজর কাদের ওপর?
মাদক মামলায় সিআইডির হেফাজতে রয়েছেন নায়িকা পরীমনি, মডেল পিয়াসা ও মৌ। তাদের মামলায় ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য  বেশ কয়েকজনকে ডাকা হয়েছে, আরও বিভিন্নজনকে ডাকা হবে বলে জানিয়েছেন সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা বেশ কয়েকজনকে ডেকেছি। মঙ্গলবার সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। মাহবুবুর রহমান বলেন,  আমরা অভিযুক্ত সবার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছি।  ৩টা জিপ, একটা বিএমডব্লিউ, একটা মাজদা এবং একটা ফেরারি গাড়ি আটক  করেছি। মোবাইল আটক করেছি৷ আমরা চেষ্টা করব নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সবগুলো মামলার তদন্ত শেষ করতে। 

পরীমনি কাণ্ডে সিটি ব্যাঙ্কের জিডি
পরীমনিকে গাড়ি উপহার দেওয়ার ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর  প্রকাশের পর ঢাকার গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে সিটি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব মিথ্যা রটনা চলছে। এর আগে কয়েকটি সাংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, নায়িকা পরীমনিকে সাড়ে ৩ কোটি টাকার বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দেওয়া ব্যক্তি সিটি ব্যাঙ্ক  লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাশরুর আরেফিন।  পরে সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে ‘পরীমনিকে কখনো দেখেননি’ বলে জানান মাশরুর আরেফিন।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement