Advertisement

Bangladesh Violence: কুমিল্লার দুর্গামণ্ডপে কে কোরান রেখেছিল? CCTV ফুটেজ প্রকাশ্যে

গোটা বিশ্বের নজর এখন বাংলাদেশ। সেখানকার দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে হিংসা ও সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ইতিমধ্যে প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছে দুনিয়ার একাধিক দেশ। যাদের মধ্যে আছে আমেরিকাও। এই ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে শেখ হাসিনার সরকার। কুমিল্লার ঘটনায় দোষীদের দ্রুত খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। আর এই আবহেই কুমিল্লার পুজোমণ্ডপে কে কোরান রেখেছিল তার পরিচয় জানিয়ে দিল বাংলাদেশ পুলিশ।

পুজো মণ্ডপে কোরান রাখাকে কেন্দ্র করে হিংসার সূত্রপাত
শাহিদুল হাসান খোকন
  • ঢাকা,
  • 21 Oct 2021,
  • अपडेटेड 9:06 AM IST
  • সাত দিনেরও বেশি সময় ধরে হিংসা-ধ্বস্ত বাংলাদেশ
  • এক পুজো মণ্ডপে কোরান রাখাকে কেন্দ্র করে যার সূত্রপাত
  • কে রেখেছিল সেই কোরান? এবার সামনে এল পরিচয়

গোটা বিশ্বের নজর এখন বাংলাদেশ। সেখানকার দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে হিংসা ও সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ইতিমধ্যে প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছে দুনিয়ার একাধিক দেশ। যাদের মধ্যে আছে আমেরিকাও। এই ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে শেখ হাসিনার সরকার। কুমিল্লার ঘটনায় দোষীদের দ্রুত খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। আর এই আবহেই কুমিল্লার পুজোমণ্ডপে কে কোরান রেখেছিল তার পরিচয় জানিয়ে দিল বাংলাদেশ পুলিশ। জানা যাচ্ছে ওই ব্যক্তির নাম  ইকবাল হোসেন (৩৫)। বাড়ি কুমিল্লা নগরের সুজানগর এলাকায়।

 

কে এই ইকবাল?
কোরান শরিফের অসম্মান করা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছিল। এরপর অষ্টমীর রাতে বাংলাদেশের একাধিক পুজোমণ্ডপে ভাঙচুর শুরু হয়। এবার  জানা যাচ্ছে,  কুমিল্লার নানুয়া দীঘিরপাড় পুজোমণ্ডপে কোরান শরিফ রাখা ব্যক্তিকে শনাক্ত ও তার নাম প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বুধবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন। তবে, তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য বা তাকে আটক করা হয়েছে কি না তা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। ইকবালের মা আমিনা বেগম, বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার ছেলে মাদকাসক্ত। তার মানসিক সমস্যাও রয়েছে। পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ইকবাল হোসেন ভবঘুরে। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেছেন, বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

সিসিটিভি দেখে সনাক্ত
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ইকবালকে  শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, দুর্গাপুজোর মহাসপ্তমীর রাতে কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘি এলাকার পার্শ্ববর্তী একটি মাজার থেকে এক ব্যক্তিকে একটি বই হাতে বের হতে। এর এক ঘণ্টা পর একই ব্যক্তিকে নানুয়া দীঘির পুজোমণ্ডপের পাশে দেখা যায়। তখন তার হাতে বইটি আর দেখা যায়নি, বরং তার হাতে দেখা গেছে পুজোমণ্ডপের হনুমানের মূর্তিতে থাকা গদাটি। পুজোমণ্ডপের দু'টি ছবি বিশ্লেষণ করে ইকবালকে শনাক্ত করা হয়েছে। তার বাড়ি কুমিল্লার সুজানগরে  বলে জানায় পুলিশ। ইকবালের বাবার নাম নূর আহমেদ আলম। 

Advertisement

দুর্গাপুজোয় হিংসা এবং হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনায় বাংলাদেশ এখন উত্তাল। গত তেরোই অক্টোবর নানুয়া দীঘিরপাড় পুজোমণ্ডপে কোরান শরিফ রাখাকে কেন্দ্র করে পুজোমণ্ডপে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে  চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা ও রংপুর-সহ সেই দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকজনের হতাহতের খবরও সামনে এসেছে। এদিকে, মণ্ডপে হামলার ঘটনায় কুমিল্লা মডেল থানায় এখন পর্যন্ত ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৩ জন আটক হলেও পরে ৩৯ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement