করোনা অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে। প্রাণ, রোজগার, সহায়-সম্বল প্রায় সব কিছু। যেমনটা হয়েছে শুচিস্মিতা রাউতরায়-এর ক্ষেত্রে।
অমিতাভ বচ্চন, আলিয়া ভাট, রণবীর কাপুর, বরুণ ধাওয়ান এই সমস্ত বলিউড স্টারদের সঙ্গে কাজ করা মেয়ে এখন সংসার চালাচ্ছেন মোমো বিক্রি করে।
প্রতি দিন সংসার চালানোর যুদ্ধে দিনে ৩০০-৪০০ টাকা রোজগারের জন্য মোমোর দোকান করেছেন তিনি।
বলিউডের তামাম বড় স্টারদের ক্যআমেরাবন্দি করে এক সময় জীবন কাটত শুচিস্মিতার।
লকডাউনের আগে প্রচুর কাজ ছিল হাতে। কিন্তু লকডাউনের পর থেকে সেভাবে আর কাজ পাচ্ছেন না।
পড়াশোনা শেষ করে ২০১৫ সালে মুম্বই চলে আসেন তিনি।
৬ বছর অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যামেরাম্যানের কাজ করেছেন। তার পর করোনা সব কিছু বদলে দেয়।
লকডাউনের পর বাড়ি ফেরার টাকাও ছিল না। অমিতাভ বচ্চন এবং সলমন খান বাড়ি ফেরার জন্য তাঁদের টিমকে সাহায্য করেন।
বাবা মারা গিয়েছেন। মায়ের সঙ্গে কটকে নিজের বাড়িতে থাকেন তিনি। অত্যন্ত অর্থকষ্টে পড়েই শেষ পর্যন্ত মোমোর দোকান করার সিদ্ধান্ত নেন শুচিস্মিতা।
রোজগারে কোনও ক্রমে সংসার চালিয়ে নিচ্ছএন। নিজের স্বপ্ন থেকে কয়েক যোজন দূরে দাঁড়িয়ে পুরনো স্মৃতি মনে করেন তিনি।