বিপাকে সলমন খানের ভাই আরবাজ খান ও সোহেল খান। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়ম না মানার ফলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে বৃহমুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। অভিযোগে নাম রয়েছে সোহেল খানের ছেলে নির্ভান খানেরও।
ঠিক কী অভিযোগ
বিএমসির এক মেডিক্যাল অফিসার এই ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিন জনের বিরুদ্ধে কোভিড নিয়ম না মানার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ, ডিসেম্বরের ২৫ তারিখ দুবাই থেকে মুম্বইতে ফিরেছিলেন অরবাজ, সোহেল ও নির্ভান। কিন্তু তারা সেখান থেকে সোজা নিজেদের বাড়িতে ফিরে যান। বিএমসির নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশ থেকে ফিরলে ৭ দিনের জন্য হোটেলে আইসোলেশনে থাকার কথা। তারা সেই সব নিয়মের ধারেকাছেই যাননি বলে অভিযোগ। এমনকি সেই সঙ্গে ভুল তথ্য দেওয়ারও অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই ৩ জনই হোটেল তাজ ল্যান্ডস-এ আইসোলেশনে রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু আদতে তারা সেটা করেনি। যদিও সোহেল খানের দাবি, তারা তাজ ল্যান্ডস হোটেল বুকিং করেছিলেন। কিন্তু বিমানবন্দরে পরীক্ষায় তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তাই তারা বাড়িতে ফিরে চলে যান।
আরও পড়ুন, করোনা বিধি না মানায় গ্রেপ্তার দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার সুরেশ রায়না
মুম্বইতে কড়া নিয়ম
করোনার নতুন স্ট্রেনের জেরে মুম্বইতে কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ কঠোর হয়েছে। বাণিজ্যনগরীতে করোনার দৈনিক সংক্রমণ এখন নিম্নমুখী থাকলেও, কোভিডের নতুন স্ট্রেনকে ঘিরে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে বিদেশ থেকে আসা সকল যাত্রীদের জন্য একগুচ্ছ নিয়ম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই সব নিয়ম মানেনি বলে অভিযোগ উঠেছে সলমন খানের ভাইদের বিরুদ্ধে। ইদানিং কোভিড নিয়ম না মানায় বেশ কয়েকজন তারকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে মুম্বইতে। করোনার নিয়ম না মানার জন্য কয়েকদিন আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন ভারতের জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার সুরেশ রায়না ও গায়ক গুরু রনধাওয়াক। মুম্বই বিমানবন্দরের কাছে ড্রাগনফ্লাই নামে একটি ক্লাব থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও পরে এই দুজনই জামিনে ছাড়া পান। সেই ক্লাব থেকে মোট ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।