প্রেমঘটিত কারণে কি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন টিভি অভিনেত্রী বৈশালি ঠক্কর? প্রাথমিক তদন্তে তেমনটাই মনে করছে পুলিশ।
ইন্দোরে নিজের বাড়িতে উদ্ধার হয়েছে বৈশালির ঝুলন্ত দেহ। তাঁর বাড়িতে মিলেছে একটি সুইসাইড নোটও। এসিপি এম রহমান জানিয়েছেন,অভিনেত্রীর সুইসাইড নোটে প্রাক্তন প্রেমিকের কথা বলা হয়েছে।
শনিবার রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বৈশালি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে সুইসাইড নোট।
সেই সুইসাইড নোট অনুযায়ী,সুইসাইড নোটে প্রাক্তন প্রেমিকের নাম লেখা হয়েছে। প্রেম ভেঙে গেলেও তাঁকে হয়রান করত ওই প্রেমিক!
বৈশালীর বয়স হয়েছিল ৩০ বছর। এত কম বয়সে মৃত্য়ু মেনে নিতে পারছেন না পরিজনরা। বৈশালী ঠক্কর 'ইয়ে রিশতা কেয়া কেহলাতা হ্যায়','সসুরাল সিমার কা'-সহ একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে টানাপোড়েন থেকে কি আত্মহত্যা করলেন অভিনেত্রী? উঠে আসছে একাধিক কারণ। জানা গিয়েছে, তাঁর বাগদান হওয়ার পরও বিয়ে ভেঙে যায়। সেজন্য অবসাদে চলে যেতে পারেন বৈশালি।
গতবছর এপ্রিলে বাগদান হয়েছিল অভিনেত্রীর। সেই ভিডিও পোস্ট করেছিলেন নেট মাধ্যমে। পরে সেই পোস্ট মুছে দিয়ে বিয়ে ভাঙার খবর জানান।
কেন বিয়ে ভেঙেছিল, সে ব্যাপারে জানা যায়নি। ইনদৌরের যে বাড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে সেখানে গত এক বছর ধরে থাকছিলেন বৈশালি।
প্রাক্তন প্রেমিকের প্রতারণাও হয়তো মেনে নিতে পারেননি বৈশালি। সেটাও আত্মহত্যার কারণ বলে মনে করছে পুলিশ।
২০১৫ সালে ‘ইয়ে রিশতা কেয়া কহলাতা হে’ ধারাবাহিক দিয়ে বৈশালির অভিষেক হয়েছিল। তার পর একে একে সসুরাল সিমর কা,ইয়ে হ্যায় আশিকি, বিষ ইয়া অমৃত ধারাবাহিকগুলিতে অভিনয় করেছেন।