করোনা অতিমারী বিপুলভাবে প্রভাব ফেলেছে বিনোদন জগতে। যার জেরে স্থগিত ছিল বহু ছবি মুক্তি। একে একে মুক্তি পাচ্ছে পাইপলাইনে থাকে ছবিগুলি। যে তালিকায় যুক্ত হল এবার 'সহবাসে' (Sahobase) নাম। এই ছবিতে প্রথমবার জুটি বেঁধেছেন ইশা সাহা (Ishaa Saha) ও অনুভব কাঞ্জিলাল (Anubhav Kanjilal)। অঞ্জন কঞ্জিলাল পরিচালিত ও মোজোটেল এন্টারটেইনমেন্টস প্রযোজিত, এই ছবির ট্রেলার সামনে আসার পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে উৎসাহ ছিল। শেষমেশ আগামী ২২ জুলাই মুক্তি পাবে বহু প্রতীক্ষিত এই ছবি।
এক বাঙালি অবিবাহিত 'কাপল' নীল এবং টুসির গল্প বলা হয়েছে এই ছবিতে। নীলের চরিত্রে অনুভব কাঞ্জিলাল এবং টুসি চরিত্রে ইশা সাহা অভিনয় করেছেন। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh) এবং রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় (Rahul Banerjee)। এছাড়াও রয়েছেন শুভাষিস মুখোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, দেবলীনা দত্ত, তুলিকা বসু, ব্রাত্য বসু সহ আরও অন্যান্যরা।
'সহবাসে'-র সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন সৌম্য ঋত এবং সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্ব সামলেছেন মধুরা পলিত। ছবির গল্প লিখেছেন সুমনা কাঞ্জিলাল। পরিচালনার পাশাপাশি চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন অঞ্জন নিজেই। প্রেক্ষাগৃহে ছবি মুক্তি স্থগিত থাকলেও, দেশ- বিদেশের সাতটি চলচ্চিত্র উৎসবে এখন পর্যন্ত ১০ টি পুরস্কার সহ দর্শকদের প্রশংসা রয়েছে 'সহবাসে'-র ঝুলিতে।
নীল এবং টুসি 'লিভ ইন' করতে শুরু করে। কারও কাছে তারা বন্ধু তো কারও কাছে ভাই- বোন নামে পরিচয় দেন। তাদের পরিজনেরা তাদের এই গোপন 'সহবাসের' বিষয়টি জানতে পারে হঠাৎ। সমাজ কীভাবে এ 'লিভ ইন' সম্পর্ক নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে? কিংবা তাদের পরিবার কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে? শেষ পর্যন্ত কি তারা একে অপরের সঙ্গে সারা জীবন কাটাতে পারবেন? এই নিয়েই ছবির গল্প এগোয়। সহজে বলা যায়, বর্তমান সময়ে শহরে আসা দুই শিক্ষিত ছেলেমেয়ের একসঙ্গে থাকার গল্প বলে এই ছবি। তাদের মূল্যবোধ, উচ্চাকাঙ্খা এবং আগের জেনারেশনের সঙ্গে সংঘাতের গল্প - 'সহবাসে'।
ছবিটির পরিচালক অঞ্জন কঞ্জিলাল বেশ কয়েক বছর ধরে থিয়েটার জগতে যথেষ্ট পরিচিত। তবে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করলেন তিনি এই ছবির মাধ্যমেই। অঞ্জনের কথায়, "লিভ-ইন বা সহবাসের ধারণাটি বছরের পর বছর ধরে প্রচলিত। প্রেম এবং বিয়ের ধারণা বিগত কয়েক বছর ধরে পরিবর্তিত হয়েছে। 'সহবাসে'-র মাধ্যমে আমি সময়ের পরিবর্তনকে ধরার চেষ্টা করেছি। এই ছবিটি শুধু দু'জনের গল্প নয়। এটি একটি গোটা প্রজন্মের গল্প। এই ছবিটি প্রেম বা বিয়ের প্রচার করার জন্যে নয়, বরং এমন একটি গল্প বর্ণনা করা হয়েছে, যা দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।"