পর্নস্টার মিয়া খলিফার (Mia Khalifa) টিকটক অ্যাকাউন্ট (TikTok Account) নিষিদ্ধ করা হয়েছে পাকিস্তানে। এবার ট্যুইট করে তিনি জানালেন যে, টিকটিক অ্যাকাউন্ট ব্যান হলেও এখন থেকে তাঁর ছোট ক্লিপগুলি এই মাইক্রো-ব্লগিং সাইটে রিপোস্ট করবেন তিনি। অতীতে পাকিস্তান দু'বার টিকটক নিষিদ্ধ ও চালু করেছে।
তাঁর ওপর থেকে দ্বিতীয় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় এপ্রিলে। মূলত নিষিদ্ধ কন্টেন্ট পোস্ট করার জন্যই টিকটক এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে তিনি সেই কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়ায়, তুলে নেওয়া হয় ব্যান।
এদিকে পাকিস্তান মিয়া খলিফার টিকটক অ্যাকাউন্ট ব্যান করার পরেও তিনি হার মানতে নারাজ। তিনি ট্যুইট করেন, "আমার টিকটক অ্যাকাউন্টটি নিষিদ্ধ করার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি। যারা ফ্যাসিবাদকে দূরে রাখতে চান, আমার এমন পাকিস্তানি ফ্যানেদের জন্য এখন থেকে ট্যুইটারে আমার সমস্ত টিকটক পুনরায় পোস্ট করবো।"
পাকিস্তানের টেলি যোগযোগ কর্তৃপক্ষ কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না করে মিয়া খলিফার অ্যাকাউন্টে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এই পদক্ষেপের পিছনেআসল কারণ এখনও পরিষ্কার হয়নি।
মিয়া খলিফাকে তাঁর টিকটক অ্যাকাউন্টে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তাঁর এক অনুরাগীকে জানিয়েছিলেন। তিনি ট্যুইটারে একটি পোস্টে এই খবরটি শেয়ার করেছিলেন। তিনি সেই সময় খুব হতাশ হয়েছিলেন। টিকটকে মিয়ার ২২.২ মিলিয়ন ফলোয়ার্স এবং ২৭০ মিলিয়ন লাইক রয়েছে।
অতীতে ট্যুইটারে বেশ কয়েকটি বিষয়ে নিয়ে মতামত জানিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন মিয়া খলিফা। জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার পরে মে মাসে, মিয়া খলিফা বেশ কয়েকটি ট্যুইট করেছিলেন। তিনি লেখেন, "আমি যতটা উচ্চস্বরে বলি 'লেবাননের জন্য প্রার্থনা করুন', সেরকমই বলছি 'প্যালেস্টাইনকে মুক্ত করুন'।"
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনেও ট্যুইট করেছিলেন মিয়া। তিনি বিক্ষোভের একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন এবং দিল্লির ঘটনার ধারাবাহিকতায় তীব্র শোক প্রকাশ করেছিলেন।
মিয়া খলিফার, 'মিয়া কে' নামে একটি নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে, যেখানে তিনি খেলাধুলা এবং ফ্যাশন সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করে। তাঁর ৮,০০,০০০ জন ফলোয়ার্স রয়েছে। তিন মাস আগে 'অ্যাডাল্ট ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি' ছেড়ে তিনি মিয়ামিতে চলে যান।