শুরু হয়ে গেছে উৎসবের মরসুম (Festive Season)। দোরগোড়ায় বাঙালির সবচেয়ে বড় পার্বণ দুর্গা পুজো (Durga Puja)। আর পুজো মানেই খাওয়া- দাওয়া, আড্ডা, ঠাকুর দেখা এবং সেই সঙ্গে গান। পুজোর গানের (Pujor Gaan) দিকে সারা বছর ধরে মুখিয়ে থাকে বহু বাঙালি। সেই সমস্ত শ্রোতাদের জন্য দারুণ উপহার দিলেন পণ্ডিত বিক্রম ঘোষ (Bickram Ghosh)। সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী (Iman Chakraborty), শোভন গঙ্গোপাধ্যায় (Shovan Ganguly) সহ আরও একাধিক শিল্পীদের কণ্ঠে মুক্তি পেল 'আবার এলে মাগো' (Abar Ele Mago)।
বিক্রম ঘোষের সুরে আগমনী এই গানটি গেয়েছেন ইমন চক্রবর্তী, শোভন গঙ্গোপাধ্যায়, তৃষা চট্টোপাধ্যায়, ঋতি টিকাদার, অর্ণব চক্রবর্তী, নির্মাল্য রায়ের মতো শিল্পীরা। গানের কথা লিখেছেন সুগত গুহ। জোনাই সিং এবং জে এস ইভেন্টসের প্রযোজনায় প্রকাশ্যে এসেছে এই পুজোর গান। আশ্বিনের শারদপ্রাতে মায়ের আগমনের উৎসবের সুর তুলে, জেএসই মিউজিক- এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে 'আবার এলে মাগো'।
পণ্ডিত বিক্রম ঘোষ জানালেন, "অনেক ভালোবাসা দিয়ে আগমনী গানটা তৈরি করেছি। আমি চেয়েছিলাম গানটা শ্রুতিমধুর হোক। যাকে গানের প্রাণ বলি, সেই মেলোডির সঙ্গে গানের অন্তর্বর্তী যন্ত্রসঙ্গীতের জায়গাগুলোতে কিছু উদ্দীপক যন্ত্রের ব্যবহার রয়েছে। যা, ছন্দের দিক থেকেও আকর্ষণীয়। গানটি লিখেছেন আমার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও প্রিয় বন্ধু সুগত গুহ। তিনিই জেএসই প্রোডাকশনের জোনাই সিং এবং আমাকে একত্রিত করেছেন।"
তিনি আরও বলেন, "জেএসই -এর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা অত্যন্ত আনন্দদায়ক। জোনাই সিং-এর একটা নান্দনিক সংবেদনশীলতা আছে যা, বর্তমান সময়ের সঙ্গীত প্রযোজকদের মধ্যে খুব কমই পাওয়া যায়। গায়ক এবং যন্ত্রশিল্পীরা এই গানের সম্পদ । আমি আশা করি শ্রোতারা গানটা ততটা উপভোগ করবেন, যতটা আমরা এটা আনন্দের সঙ্গে সৃষ্টি করেছি।"
গীতিকার সুগত গুহর কথায়, "এই অসাধারণ প্রয়াসটির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। আমার কথার ডালিতে মাকে বরণ করার যে আনন্দ, তা আর অন্য কিছুতে নেই। বহু গুণীজনের সমাহারে এটা এক অনন্য প্রয়াস, যার ভাগীদার হতে পারাটাই গভীর আনন্দের।"
জেএসই - এর ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর জোনাই সিং জানালেন, "পণ্ডিত বিক্রম ঘোষের সঙ্গে কাজ করা, একটা বড় সুযোগের পাশাপাশি, এক স্বতন্ত্র সম্মানের ছিল। তরুণ প্রতিভা নিয়ে কাজ করার জন্য তাঁর আগ্রহ আমার কাছে বেশ আকর্ষণীয় । সুগতর গান, অনেক প্রতিভাবান কণ্ঠ এবং সর্বোপরি, বিক্রমের সঙ্গীত সুন্দরভাবে একত্রিত করে নিখুঁত পুজোর নস্টালজিয়া তৈরি করে। আমি আশাবাদী গানটা শ্রোতাদের মন জয় করবে।”