Advertisement

75 Years Of Indian Movie : সত্যজিৎ থেকে ঋষিকেশ; আন্তর্জাতিকস্তরে দেশকে পৌঁছে দিয়েছেন যে সব বাঙালি পরিচালক

বর্তমানে স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ উদযাপন করছে দেশ। মাঝের এই সময়কালে অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে ভারতীয় সিনেমাও। আর তার নেপথ্যে যেমন রয়েছে, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ভূমিকা, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে পরিচালকদেরও। আর শুধু দেশের অভ্যন্তরে নয়, বিদেশের মাটিতেও প্রশংসা কুড়িয়েছে ভারতীয় সিনেমা। চলুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই কিছু বাঙালি চিত্র পরিচালকের কথা, যাঁদের সৃষ্টি আন্তর্জাতিক মহলে প্রতিষ্ঠিত করেছে ভারতীয় ছবিকে। 

ঋত্বিক ঘটক, ঋতুপর্ণ ঘোষ এবং সত্যজিৎ রায়।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 14 Aug 2022,
  • अपडेटेड 3:12 PM IST
  • স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ
  • পরিবর্তন হয়েছে চলচ্চিত্রেরও
  • জানুন বাঙালি পরিচালকদের গল্প

সিনেমা কী? সোজা কথায় বলতে গেলে ছবি ও শব্দের এক মিশেল, যার মাধ্যমে ছবি নির্মাতা দর্শকদের সামনে একটি গল্প তুলে ধরেন। বর্তমানে স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ উদযাপন করছে দেশ। মাঝের এই সময়কালে অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে ভারতীয় সিনেমাও। আর তার নেপথ্যে যেমন রয়েছে, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ভূমিকা, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে পরিচালকদেরও। আর শুধু দেশের অভ্যন্তরে নয়, বিদেশের মাটিতেও প্রশংসা কুড়িয়েছে ভারতীয় সিনেমা। চলুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই কিছু বাঙালি চিত্র পরিচালকের কথা, যাঁদের সৃষ্টি আন্তর্জাতিক মহলে প্রতিষ্ঠিত করেছে ভারতীয় ছবিকে। 

সত্যজিৎ রায় - ১৯৫২ সালে সত্যজিৎ রায় যখন যখন 'পথের পাঁচালী'-র শুটিং শুরু করেন, সেই সময় তাঁর যে কলাকুশলীরা ছিলেন, তাঁদের বেশিরভাগেরই চলচ্চিত্র নির্মাণের কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। ছবিটি নির্মাণের জন্য তেমন কোনও ফান্ড না থাকায়, ব্যক্তিগত খরচেই তিনি শ্যুটিং শুরু করেছিলেন। কেউ কেউ আর্থিক সাহায্য করতে প্রস্তুত হলেও স্ক্রিপ্টে পরিবর্তন চাইতেন। তবে এত সংগ্রামের শেষ পর্যন্ত যে ছবিটি তৈরি হয়, সেটা শুধু ছবি নয়, ভারতীয় সিনেমার এক অমূল্য সম্পদ হয়ে ওঠে। আন্তর্জাতিক মহলেও সেই ছবি বিপুল সাড়া ফেলে দেয়। এছাড়াও সত্যজিতের 'চারুলতা', 'জলসাঘর', 'দেবী, গুপি গাইন বাঘা বাইনের' মতো ছবিও বারেবারেই অবাক করেছে দর্শকদের।

ঋত্বিক ঘটক - ভারতীয় সিনেমার আলোচনায় যে বাঙালির নাম কখনওই ভোলার নয়, তিনি ঋত্বিক ঘটক। তাঁর 'মেঘে ঢাকা তারা', ভারতীয় সিনেরাও আরও এক অমূল্য সম্পদ, যা যুগে যুগে দর্শকদের কাছে এভারগ্রিন। এছাড়ও 'পাড়ি থেকে পালিয়ে', 'অযান্ত্রিক', 'তিতাস একটি নদীর নাম'-এর মতো ছবিগুলিও দর্শকমনে চিরকালীন জায়গা করে নিয়েছে। 

মৃণাল সেন - আধুনিক ভারতীয় সিনেমার ৩ পাইওনিয়ারের মধ্যে একজন হলেন মৃণাল সেন। তাঁর তৈরি 'নীল আকাশের নিচে' ছিল স্বাধীন ভারতে নিষিদ্ধ হওয়া প্রথম চলচ্চিত্র। তার 'বাইশে শ্রাবণ' ছবিতে প্রচণ্ড দুর্ভিক্ষে অনাহারে এক দম্পতির সংগ্রাম করার কাহিনি মানুষকে নাড়া দিয়েছিল। এটিই ছিল লন্ডন চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠানো প্রথম ভারতীয় ছবি।

Advertisement

বিমল রায় - বিমল রায় মূল ধারার ছবির পাশাপাশি সিনেমা চলচ্চিত্রে সমাজতান্ত্রিক ধারণা নিয়ে আসেন। তাঁর 'দো বিঘা জমিন' কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আন্তর্জাতিক পুরষ্কার জেতে। আবির 'মধুমতি' ছবির মধ্যে দিয়ে তিনি চলচ্চিত্রে পুনর্জন্মের কনসেপ্ট নিয়ে আসেন, যা পরবর্তীকালে 'কর্জ', 'ওম শান্তি ওম'-এর মতো ছবিতেও দেখা যায়। এছাড়া তাঁর 'সুজাতা', 'বন্দিনী', 'দেবদাস'-এর মতো ছবিও দর্শদের উপহার দিয়েছেন তিনি।

ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায় - ভারতীয় সিনেমার আরও এক বিখ্যাত বাঙালি পরিচালক ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায়। একদিকে তিনি যেমন 'অনুপমা', 'সত্যম', 'মাঞ্জালি দিদি'-র মতো সিরিয়াস ছবি বানিয়েছেন, তেমনই তাঁর পরিচালনায় তৈরি হয়েছে 'চুপকে চুপকে', 'গোল মাল', 'বাওয়ারচি', 'খুবসুরাত'-এর মতো ছবি। বিশেষত তাঁর ছবির এডিটিং দর্শকদের নজর কাড়ত। এক্ষেত্রে যাঁরা ছবি নিয়ে পড়াশোনা করছেন তাঁদের বিশেষ ভাবে ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের ছবি দেখা উচিত। 

বাসু চট্টোপাধ্যায় - বলিউডে আরও এক বাঙালি পরিচালক যিনি নিজের আলাদা ঘরানা তৈরি করেছিলেন, তিনি বাসু চট্টোপাধ্যায়। 'রজনীগন্ধা', 'চিতচোর', 'খট্টামিঠা', 'বাতো বাতো মে'-র মতো আইকনিক ছবি উঠে এসেছে তাঁরই ক্যামেরার চোখ দিয়ে। কেউ কেউ ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর তুলন করেন। 

ঋতুপর্ণ ঘোষ - এ যুগের ছবির নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে যে মানুষটির কথা না বললেই নয়, তিনি ঋতুপর্ণ ঘোষ। 'উনিশে এপ্রিল', 'দহন', 'উৎসব', 'রেনকোট', 'বাড়িওয়ালি'-সহ আরও অনেক ছবি বারেবারেই নতুন ভাবনার স্বাদ দিয়েছে দর্শকদের। আর শুধু তাই নয় ঝুলিতে পুরস্কারও রয়েছে প্রচুর। এমনকি বিদেশের মাটিতেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন তাঁর সৃষ্টি। 

অপর্ণা সেন - অভিনেত্রী অপর্ণা সে, ১৯৮১ সালে পরিচালক হিসেবে তৈরি করেন '৩৬ চৌরঙ্গী লেন'। ছবিটি জাতীয় পুরষ্কার জিতে নেয়। ১৯৮৯ সালে, তাঁর 'সতী' ছবিতে, বোবা মহিলার চরিত্রে অভিনয় করেন সাবানা আজমি। ছবিটি বিশেষভাবে দাগ কাটে মানুষের মনে। এছাড়া 'যুগান্ত', 'পরোমা' এবং 'মিস্টার অ্যান্ড মিসেস আইয়ার'-এর মতো ছবিতে অপর্ণার নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গির যে পরিচয় পাওয়া গিয়েছে তা ছবিগুলিকে চেনা ছকের একেবারে বাইরে নিয়ে গিয়েছে। 

আরও পড়ুনএই ৪ ফলের বীজ যেন কখনওই পেটে না যায়, বিষের কাজ করে

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement