এক ঝলক দেখলে মনে হতেই পারে আপনার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন স্বয়ং মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। হবে নাই বা কেন, দিদা নাতনির সম্পর্কে তো মিল থাকবেই। সুচিত্রা সেন তাঁর জীবনের ৩৬ টা বছর কাটিয়ে ছিলেন অন্তরালে। আর সেই সময় দুই নাতনি রিয়া ও রাইমার সঙ্গে প্রচুর সময় কাটিয়েছেন। আর রাইমাও সুচিত্রা সেনকে অসম্ভব ভালোবাসতেন। সেই ভালোবাসা মহানায়িকার মৃত্যুর পরও অটুট রয়ে গিয়েছে। রাইমা মহানায়িকা এক বিশেষ নামে ডাকতেন। যা নিজেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সকলকে জানিয়েছেন।
সুচিত্রা সেন সম্পর্কে দিদা হন রাইমার। তাঁর একমাত্র মেয়ে মুনমুন সেনের বড় মেয়ে রাইমা। বড় নাতনি কিন্তু কোনওদিনই সুচিত্রা সেনকে দিদা বলে ডাকেননি। বরং তিনি সুচিত্রা সেনকে আম্মা বলে ডাকতেন। কিছু বছর আগে সুচিত্রা সেনের ৯০ বছর জন্মদিন উপলক্ষ্যে রাইমা সেন একটি পোস্ট করেন। সেখানে মহানায়িকার কোলে দেখা গিয়েছে ছোট্ট রাইমাকে। সুচিত্রা সেনের হাসিতে ভরে রয়েছে ছবিটি। খুদে রাইমাও খিলখিলিয়ে হাসছে। ছবির ক্যাপশনে লিখলেন, “শুভ জন্মদিন আম্মা। তুমি চিরকাল আমাদের মনের কাছাকাছি থাকবে।”
আরও পড়ুন: এ'বছর স্পেশাল ইদ নুসরতের, মুক্তি পেল বিবাহ অভিযান ২-এর TRAILER
বাঙালি দর্শক বরাবরই তাঁর সঙ্গে সুচিত্রা সেনের মিল খুঁজে পেয়েছেন। বিশেষ করে রাইমার হাসি যেন একদম মহানায়িকার মতোই। রাইমার কাছে সর্বদাই সুচিত্রা সেন এক অন্য গভীর জীবন। রাইমার হাতে আজও রয়েছে সুচিত্রা সেনের মিনাকারী সোনার বালা। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন যে মা বিশ্বাস করে, ওর মধ্যে আম্মার শক্তি ভরা আছে। এই বালা আমার জন্য সব ভাল পাওয়া— পৃথিবীর মাটি চিরে নিয়ে আসবে। সত্যি তাই, এই সুন্দরী বালা আমার জন্য বরাবর একরাশ খুশি নিয়ে আসে। খুশির আর এক নাম যে আম্মা।
আরও পড়ুন: Suchitra Sen: উত্তম কুমারের মৃত্যু নয়, এই ব্যক্তির কথায় নিজেকে অন্তরালে রেখেছিলেন সুচিত্রা সেন
রাইমা বা রিয়া কোনওদিনই সুচিত্রা সেন সম্পর্কে সেভাবে প্রকাশ্যে কিছুই জানাননি। কারণ মহানায়িকা নিজেই সেটা চাইতেন না। রাইমা-রিয়ার ফ্ল্যাটের পাশেই থাকতেন সুচিত্রা সেন। তাঁর ফ্ল্যাটে প্রায়ই যান রাইমা। আম্মার ঘ্রাণ নিতে। রাইমা সেই সময় এও জানিয়েছিলেন যে তিনি কেন বিয়ে করছেন না তার কারণ জানতেন আম্মা। রাইমা এও জানিয়েছেন যে আম্মা একা থাকতে ভালোবাসতেন কিন্তু তিনি লোকজনের সঙ্গে দেখা করতেন না এমনটা নয়।
বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বরাবরই সুচিত্রা সেনের অন্তরালে থাকা একটা রহস্যের সৃষ্টি করেছে। তিনি দীর্ঘ বছর নিজেকে লোকচক্ষুর আড়ালে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। যদিও তাঁর অন্তরালে থাকা নিয়ে লোকে একাধিক কথা বলে। তবে আসল কারণটা একেবারেই অন্য। মৃত্যুর সময়ও সুচিত্রা সেনের ইচ্ছাতেই তাঁর মুখ কেউ দেখতে পারেননি। তবে অন্তরালে থাকলেও দুই নাতনির সঙ্গে দারুণ সময় কাটাতেন সুচিত্রা সেন।