সমস্ত ধারাবাহিকগুলোই চেষ্টা করছে বিশেষ কিছু পর্ব, গল্পের নয়া মোড়ের মাধ্যমে দর্শকদের মনোরঞ্জন করার। রেটিং চার্টে (Rating Chart) প্রতি সপ্তাহে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে প্রথম সারির বাংলা চ্যানেলগুলির মধ্যে। টিআরপি চার্টেও (TRP Chart) প্রতি সপ্তাহে বদল আসছে। বলা চলে একে অপরকে জোরদার টক্কর দিচ্ছে মেগাগুলি। ফলস্বরূপ ধারাবাহিক সম্প্রচারের সময় নিয়ে নানা পরীক্ষা করছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। এবার ট্রোলড হল জি বাংলার 'এই পথ যদি না শেষ হয়' (Ei Poth Jodi Na Sesh Hoy) ধারাবাহিক।
নতুন ট্র্যাকে দেখা যাচ্ছে একটি গাড়িতে রাখা রয়েছে বোমা, যেটি আর কিছু মিনিটের মধ্যে ফেটে যাবে। সকলের চোখে -মুখে টেনশন। সাত্যকিও অত্যন্ত উদ্বেগে। বোমার তার কেটে সকলকে বাঁচানোর দায়িত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে ঊর্মি। আর কয়েক সেকেন্ড বাকি। কাঁচি নিয়ে তার কাটতে তার হাত কাঁপছে... বিপদ ঘটে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে মামণি। শেষমেশ কী হবে, এই নিয়ে রয়েছে টানটান উত্তেজনা।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রোমো দেখে উঠেছে হাসির রোল। অনেকেই ঊর্মিকে 'জবা লাইটস' বলে কটাক্ষ করা শুরু করেছেন। কেউ লিখেছেন, 'সব সিরিয়ালের হিরোইনরা বোম স্কোয়াড থেকে ট্রেনিং নিয়ে এসেছে?' এক নেটিজেন লিখেছেন, 'এই ঊর্মি তুমিই তাহলে জবার যোগ্য উত্তরসূরী।' অন্য আরেকজন লিখেছেন, "ফাজলামির একটা সীমা থাকে। বোমের তার কাটছে কাঁচি দিয়ে... এটা কে রে?'
'মিঠাই' ও 'কে আপন কে পর' ধারাবাহিকের সঙ্গে বারবার 'এই পথ যদি না শেষ হয়' -র তুলনা টানা শুরু করেছেন অনেকেই। কারণ একটি পর্বে দেখানো হয়েছিল জবা বোম ডিফিউজ করছে। আবার মনোহরাতে ওমি আগরওয়ালের রেখে যাওয়া বোমা, ডিফিউজ করতে দেখা যায় সিদ্ধার্থকে। সব মিলিয়ে এই ধারাবাহিকের ট্র্যাকে খুশি নয় নেটিজেনরা, তা বোঝা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে টেলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, শেষ হয়ে যাবে 'এই পথ যদি না শেষ হয়'। এতদিন রাত ৯ টায় সম্প্রচারিত হত এই মেগা। ২৮ নভেম্বর থেকে সেই স্লটে দেখা যাবে 'সোহাগ জল'। ঊর্মি -সাত্যকির ধারাবাহিক দেখা যাবে রাত ৯.৩০ মিনিটে।