Advertisement

'Shoot From Home' হচ্ছে হোটেলে! টলিপাড়ার শ্যুটিং ঘিরে ফোরাম ও ফেডারেশনের কাজিয়া

টলিপাড়ায় শোনা যাচ্ছে নতুন শব্দবন্ধ 'শ্যুট ফ্রম হোম' (Shoot From Home)। আর এর জেরেই ফের ফেডারেশন (Federation) ও আর্টিস্ট ফোরামের (Artist Forum) কাজিয়া সামনে এল। 

টলিপাড়ার শ্যুটিং ঘিরে চলছে ফেডারেশন ও আর্টিস্ট ফোরামের টানাপোড়েন  টলিপাড়ার শ্যুটিং ঘিরে চলছে ফেডারেশন ও আর্টিস্ট ফোরামের টানাপোড়েন
সৌমিতা চৌধুরী
  • কলকাতা,
  • 01 Jun 2021,
  • अपडेटेड 11:20 PM IST
  • করোনার পরিস্থিতি কিছুটা ঠেকাতে বন্ধ স্টুডিও পাড়ার শ্যুটিংও।
  • টলিপাড়ায় শোনা যাচ্ছে নতুন শব্দবন্ধ 'শ্যুট ফ্রম হোম'।
  • সামনে এল ফেডারেশন ও আর্টিস্ট ফোরামের কাজিয়া। 

ছোট পর্দার ধারাবাহিকগুলি অনেক ক্ষেত্রেই দর্শকদের রোজনামচার সঙ্গে জড়িয়ে যায়। টেলিভিশনের চরিত্রগুলি হয়ে ওঠেন তাঁদের বাড়ি কিংবা একেবারে পাশের বাড়ির সদস্য। বলা যায়, বাঙালির ড্রয়িং রুম থেকে ডাইনিং রুমের চর্চাতেও ঢুকতে পেরেছে ধারাবাহিকগুলি। করোনার পরিস্থিতি কিছুটা ঠেকাতে কার্যত লকডাউন (Partial Lockdown) ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্যে। যার জেরে বন্ধ স্টুডিও পাড়ার শ্যুটিংও। টলিপাড়ায় শোনা যাচ্ছে নতুন শব্দবন্ধ 'শ্যুট ফ্রম হোম' (Shoot From Home)। আর এর জেরেই ফের ফেডারেশন (Federation) ও আর্টিস্ট ফোরামের (Artist Forum) কাজিয়া সামনে এল। 

ধারাবাহিকগুলির গল্পের ছন্দ ও জনপ্রিয়তা বজায় রাখতে একাধিক সিরিয়ালের শ্যুটিং হচ্ছে বাড়ি থেকে। সেই সঙ্গে উঠছে পারিশ্রমিক পেয়ে কিছুটা আর্থিক সংকট দূর করার কথা। এই নিয়ে সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে, ওয়েস্ট বেঙ্গল মোশন পিকচার আর্টিস্টস ফোরাম (West Bengal Motion Picture Artist Forum)। সংগঠনের সহ-যুগ্ম সম্পাদক দিগন্ত বাগচী (Diganta Bagchi) আজতক বাংলা-কে এবিষয়ে জানান, "এক একটা শ্যুটিংয়ে যতজন টেকনিশিয়ান থাকেন, সবাইকে প্রযোজক ও চ্যানেলের তরফ থেকে পারিশ্রমিক দিয়ে দেওয়া হবে। তাহলে 'শ্যুট ফ্রম হোম'-এ কী অসুবিধা হচ্ছে? মুখ্যমন্ত্রী তো কখনও বলেননি যে ঘরের মধ্যে কোনও শ্যুট করা যাবে না!"

তিনি আরও যোগ করলেন, "তবে যদি হোটেল বা বাইরে কোনও ধারাবাহিকের শ্যুট হয়ে থাকে, সেটার দায়িত্ব আমাদের না। যেভাবে ইউটিউব চ্যানেল বা আজকাল বিভিন্ন শর্ট ফিল্মগুলোর শ্যুটিং হয়, সেভাবে বাড়ি থেকে যে যার দৃশ্য শ্যুট করে দিলে সমস্যা থাকার কথা না। এমনিতেই সবক্ষেত্রে বঞ্চিত শিল্পীরা! আমরা কোনও বিধি নিষেধ ভঙ্গ করে থাকলে নিশ্চই মানতাম বিষয়টা।"

আরও পড়ুন

দিগন্ত আশঙ্কা করছেন, যদি একেবারেই শ্যুটিং করতে না দেওয়া হয়, তাহলে সমগ্র টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রি প্রশ্নচিহ্নের মুখে এসে দাঁড়াবে। তাঁর কথায়, "বর্তমানে সমস্ত ছবির কাজ বন্ধ, সিনেমা হল বন্ধ, এমনকি প্রচুর হল বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। দর্শকেরা ওটিটি মাধ্যমকে ভরসা করতে শুরু করেছেন। কিন্তু সেটার শ্যুটিংও বন্ধ। তাহলে যে কোনও শিল্পী বা টেকনিশিয়ানদের বাঁচার অবলম্বন এখন শুধু মেগা সিরিয়াল। সেটাও না হলে, কী করে চলবে ইন্ডাস্ট্রি?"

Advertisement

অন্যদিকে ফেডারেশনের (Federation of Cine Technicians & Workers of Eastern India) সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস (Swarup Biswas) এই মতের বিরোধিতা করেছেন, তিনি জানালেন, "যেটা 'শ্যুট ফ্রম হোম' বলা হচ্ছে সেটা আসলে নিজেদের বাড়ি থেকে হচ্ছে না। বিভিন্ন হোটেল, অন্য বাড়িতে হচ্ছে, ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নাম করে, যেটির আমরা তীব্র প্রতিবাদ করছি।এছাড়া টেকনিশিয়ান, লাইট, ক্যামেরা, সাউন্ড ছাড়া আজ পর্যন্ত কখনও কোনও শ্যুটিং হয়নি। আমরা একটি মডিউল তৈরি করার কথা ভাবছি। যার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে যে কীভাবে সুন্দরভাবে শ্যুটিং করা যায় এবং যে মান ধারাবাহিকগুলি দিয়ে এসেছে এতদিন, তা যেন কোনও ভাবেই ক্ষুন্ন না হয়।" 

তিনি জানালেন যে, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে আবেদন করা হয়েছে পুনরায় শ্যুটিং চালু করার জন্য। যে সমস্ত ধারাবাহিকের শ্যুটিং নিয়ম বহির্ভূতভাবে হচ্ছে, মঙ্গলবার ফেডারেশনের তরফ থেকে সেই প্রযোজকদের চিঠি পাঠানো হবে। তাঁদের উত্তরের ওপর নির্ভর করে ফেডারেশন, তাদের সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত জানাবে বলেই জানালেন স্বরূপ বিশ্বাস। 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement