Advertisement

Shoot From Home: টলিপাড়ার ফেডারেশন- আর্টিস্ট ফোরাম তরজায় এবার কাকে কটাক্ষ করলেন লীনা? Exclusive

সামনে এসেছে ফেডারেশন (Federation of Cine Technicians & Workers of Eastern India) ও আর্টিস্ট ফোরামের (West Bengal Motion Picture Artist Forum) চাপানউতোর। এবার এই প্রসঙ্গে আজতক বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন পরিচালক, লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Gangopadhyay)। 

লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (ছবি সৌজন্য: ফেসবুক)লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (ছবি সৌজন্য: ফেসবুক)
সৌমিতা চৌধুরী
  • কলকাতা,
  • 02 Jun 2021,
  • अपडेटेड 8:13 AM IST
  • করোনার পরিস্থিতি কিছুটা ঠেকাতে বন্ধ স্টুডিও পাড়ার শ্যুটিংও।
  • টলিপাড়ায় শোনা যাচ্ছে নতুন শব্দবন্ধ 'শ্যুট ফ্রম হোম'।
  • আজতক বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়

করোনার পরিস্থিতি (Covid Pandemic) কিছুটা ঠেকাতে কার্যত লকডাউন (Partial Lockdown) ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্যে। যার জেরে বন্ধ স্টুডিও পাড়ার শ্যুটিংও। টলিপাড়ায় শোনা যাচ্ছে নতুন শব্দবন্ধ 'শ্যুট ফ্রম হোম' (Shoot From Home)। আর এর জেরেই ফের সামনে এসেছে ফেডারেশন (Federation of Cine Technicians & Workers of Eastern India) ও আর্টিস্ট ফোরামের (West Bengal Motion Picture Artist Forum) চাপানউতোর। এবার এই প্রসঙ্গে আজতক বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন পরিচালক, লেখিকা, প্রযোজক ও পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Gangopadhyay)। 

টেলিভিশনের চরিত্রগুলি বহু ক্ষেত্রেই হয়ে ওঠে বাড়ি কিংবা একেবারে পাশের বাড়ির সদস্য। বলা যায়, বাঙালির ড্রয়িং রুম থেকে ডাইনিং রুমের চর্চাতেও ঢুকতে পেরেছে ধারাবাহিকগুলি। গল্পের ছন্দ ও জনপ্রিয়তা বজায় রাখতে একাধিক সিরিয়ালের শ্যুটিং হচ্ছে বাড়ি থেকে। একদিকে ফেডারেশন তুলছে নিয়ম বহির্ভূত শ্যুটিং ও তার মান পড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ। অন্যদিকে আর্টিস্ট ফোরামের দাবী, কোনও নিয়ম না ভেঙেই যদি শ্যুট হয় এবং সকলে পারিশ্রমিক পান, তাহলে সমস্যা কোথায়?" 

লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, "মানুষ যখন ঘরবন্দী হচ্ছেন, তাঁদের কাছে আর কোনও অপশন থাকছে না মানসিক শান্তির, এই বিনোদন উপভোগ করা ছাড়া। এর সঙ্গে রয়েছে, কাজগুলো চলার একটা উপায়। চ্যানেলও এখানে ব্যবসা করতেই এসেছে। এছাড়া প্রযোজক হোক কিংবা কলাকুশলী সকলের জীবিকা, এর সঙ্গে জড়িত। সুতরাং শ্যুট ফ্রম হোম করে যদি সেই সমস্যা কিছুটা দূর করা যায় তাহলে ক্ষতি কোথায়? সারা পৃথিবীতে এখন ওয়ার্ক ফ্রম হোম স্বীকৃত।" 

আরও পড়ুন

বাড়ি থেকে শ্যুটিং প্রসঙ্গে বারবার কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে ফেডারেশনের তরফে। এই নিয়ে লীনা বললেন, "এই কথা আংশিক সত্য যে মান পড়বে। সব রকম সহায়তা পেয়ে কাজ করা আর প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কাজ করার মধ্যে পার্থক্য থাকে। কিন্তু সেটা কে ঠিক করবেন? নিশ্চই চ্যানেল কর্তৃপক্ষ আর দর্শক! আর তো কারও কিছু বলার এক্তিয়ার নেই। চ্যানেল যদি মনে করে যে ব্যবসা চালাবে, তাদের সঙ্গে তো প্রযোজকের চুক্তি থাকে। সেক্ষেত্রে আমরা যদি কাজটা না করি তাহলে তো চুক্তিভঙ্গ হবে। আর শিল্পীরাও যদি মনে করেন তাঁরা এভাবে কাজ করতে স্বাছন্দ্য বোধ করছেন, তাহলে তো সমস্যা থাকার কথা না! এছাড়া টেকনিশিয়ানরা এই পরিস্থিতিতে থাকতে পারছেন না কাজে। তাই তাঁদের সম্পূর্ণ পারিশ্রমিক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।" 

তিনি আরও যোগ করলেন, "যারা বারবার মান পড়ছে বলছেন, তাঁদের আগে হাতে-কলমে কাজ করে মান কাকে বলে সেটা বুঝতে হবে! তারপর না হয় বুঝবো...।"

শ্যুট ফ্রম হোমে চিত্রনাট্য লেখার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ কতটা আসছে? এই প্রশ্নের উত্তরে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, " চ্যালেঞ্জ তো অনেকটাই রয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি যে রকম, সেই মতো করতে হচ্ছে। তবে আমি কিছু মাথায় রেখে লিখি না। কারণ একসঙ্গে একই সেটে অভিনেতারা কাজ করতে পারবেন না ঠিকই। কিন্তু একই ব্যাকগ্রাউন্ড না হলেও কাজ তো চলছে। অনেক জায়গায় আমরা গ্রাফিক্সের সাহায্য নিচ্ছি, যাতে সেটা বোঝা না যায়। অসুবিধা অবশ্যই হচ্ছে। কিন্তু আমরা প্রত্যেকদিন সেই বাধা অতিক্রম করে আরও ভাল কাজ করার চেষ্টা করছি।" 

প্রসঙ্গত, সোমবার আর্টিস্ট ফোরামের তরফ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে ''শ্যুট ফ্রম হোম'-এ সম্মতি জানানোর পরেই মঙ্গলবার রাতে ফেডারেশন একটি ১৫ পাতার বিবৃতি প্রকাশ করে। যেখানে স্পষ্ট করে লেখা আছে যে, 'শ্যুট ফ্রম হোম'-র নাম করে যে ভাড়া বাড়ি, হোটেল, অতিথিশালায় শ্যুটিং হচ্ছে বিভিন্ন ধারাবাহিকের, তা নীতি বহির্ভূত। শুধু তাই নয়, বিবৃতিতে অনুযায়ী এই বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে ফেডারেশন। এমনকি প্রয়োজনে এই কমিটি প্রশাসনেরও সাহায্য নেবে বলেই দাবী করা হয় সেখানে।     

 

Read more!
Advertisement
Advertisement