চরম অভাবের সংসার থেকে টলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা। কাঞ্চন মল্লিকের শুরু মঞ্চ থেকে। টেলিভিশনের দৌলতে ঘরে ঘরে পৌঁছে যান কাঞ্চন।
এর আগে ব্যক্তি কাঞ্চন সে ভাবে কখনই চর্চায় ছিলেন না। হঠাৎ করেই তাঁর সাংসারিক জীবন খবরের শিরোনামে।
নিউ আলিপুর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় মানসিক নির্যাতন এবং হেনস্থার অভিযোগ করেছেন। পাল্টা অভিযোগ করেছেন কাঞ্চন-ও।
সমস্যার সূত্রপাত অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ-কে নিয়ে। ত্রিকোণ সমীকরণ নিয়ে সাংসারিক অশান্তির সূত্রপাত বলে খবর। সংবাদ মাধ্যমে এ নিয়ে বহুবার পিঙ্কি এবং শ্রীময়ী আলাদা করে মুখ খুলেছেন।
সম্প্রতি কাঞ্চনও সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলেছেন তাঁর সামসারিক সমস্যা নিয়ে। নানা দিক তিনিও তুলে ধরেছেন খবরে।
সূত্রের খবর, পিঙ্কি আগে থেকে চিনতেন শ্রীময়ীকে। একাধিকবার তাঁদের দেখা সাক্ষাৎ হয়েছে। সাম্প্রতিক অভিযোগের পর শ্রীময়ী নাকি বহুবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন পিঙ্কির সঙ্গে। তবে পিঙ্কি ফোন ধরেননি।
অভিনয় সূত্রেই পিঙ্কির সঙ্গে আলাপ হয় কাঞ্চনের। ধারাবাহিকের সেটে তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন কাঞ্চন। তার পর সম্পর্ক গড়ায় বিয়ে পর্যন্ত।
কাঞ্চনের অভিযোগ, সংসার কোনও দিন করতে চাননি পিঙ্কি। বিয়ের কিছু দিনের মধ্যে তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে যান নিজের বাড়িতে।
কাঞ্চনের কথায়, 'বিয়ের পরে মাত্র ২০ দিন সংসার করে পিঙ্কি বাবার বাড়িতে চলে গিয়েছেন? কেন গিয়েছেন? আমার মায়ের সঙ্গে নাকি থাকা যায় না! আমি মেনে নিয়েছি।'
সংসারের নানা ওঠা-পড়ায় তিনি স্ত্রীকে পাশে পাননি। কিন্তু তা নিয়ে অভিযোগ করেননি কখনও। এমনটাই জানিয়েছেন কাঞ্চন।
পিঙ্কি যদিও তাঁর প্রথম স্ত্রী নন। তাঁর প্রথম বিয়ে টেকেনি। কাঞ্চনের প্রথম বিয়ে নিয়েও কোনওদিন মাথা ঘামাননি পিঙ্কি।
একই ভাবে পিঙ্কিও অভিযোগ করেছেন কাঞ্চনের বিরুদ্ধে। একমাত্র ছেলের কোনও দায়িত্ব নেন না অভিনেতা। কেমন আছেন তাঁরা সে সম্পর্কে খোঁজ রাখেন না।
অনেক দিন ধরেই এ সব সহ্য করেছেন পিঙ্কি। অবশেষে সংবাদ মাধ্যমে মুখ খোলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
পিঙ্কির অভিযোগ, বিশেষ বান্ধবীর সঙ্গে রাস্তার মাঝে তাঁদের গাড়ি থামিয়ে অকথ্য ভাষায় কথা বলেছেন। মানসিক ভাবে হেনস্থা করেছেন কাঞ্চন।
যদিও কাঞ্চন সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। স্ত্রী এবং তাঁর দাদার বিরুদ্ধে চেতলা থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন। কাঞ্চন জানিয়েছেন, আইনি পথেই যদি সমাধান চান পিঙ্কি, তবে তিনি তাই করবেন।